Advertisment

প্রয়াত মটকা কিং, মুম্বইয়ের জুয়া সাম্রাজ্যের বেতাজ বাদশা

ওঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। কারণ এই মটকা খেলা এদেশে নিষিদ্ধ। তবে ওঁকে ধরা প্রায় অসম্ভব ছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ষাট থেকে নব্বই- তিন দশক ধরে মুম্বইয়ের একচ্ছত্র দাপট ছিল রতন খাত্রীর। জুয়া সাম্রাজ্যের বেতাজ বাদশা ছিলেন তিনি। সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন মটকা কিং নামে। সেই ব্যক্তিই সোমবার দক্ষিণ মুম্বইয়ে নিজের বাসভবনে মারা গেলেন।

Advertisment

৮৮ বছরের রতন খাত্রী কিছুদিন আগেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তারপর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। তার মধ্যেই এমন কাণ্ড।

জুয়া খেলার এক অভিনব উপায় চালু করেছিলেন খাত্রী। মটকা (মাটির ভাঁড়) থেকে চিট সংগ্রহ করে যে জুয়া খেলা হয়, তার পথ দেখিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে রাজনীতির লোক, রুপোলি জগতের তারকা, পুলিশ- প্রত্যেকের সঙ্গেই দহরম মহরম ছিল।

করাচির এক সিন্ধি পরিবারে জন্ম খাত্রীর। দেশভাগের পর মুম্বইয়ে চলে আসেন। তাঁর বড়ভাই নিউ ইয়র্ক কটন এক্সচেঞ্জে জুয়া খেলতেন। এর পরেই খাত্রী নিজের বড় ভাইয়ের সঙ্গে নিজস্ব বেটিং সিন্ডিকেট খোলেন। যা সেই সময় পরিচিত ছিল 'খাত্রী মটকা' নামে। এতটাই সেই জুয়া খেলা জনপ্রিয় হয় যে প্রতিদিনের টার্ন ওভার ছিল ১ কোটির উপর।

খাত্রী মটকার আগে মুম্বইয়ের 'ওরলি মটকা' কিংবা 'কল্যাণ মটকা' প্রচলিত ছিল। চালাতেন কল্যানজী ভগত। নিউইয়র্ক কটন এক্সচেঞ্জে কটন ট্রান্সমিশনের শুরু আর শেষের রেট ধরে এই জুয়া খেলা হত। উইকএন্ডে নিউইয়র্ক কটন এক্সচেঞ্জ বন্ধ থাকে। এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেন খাত্রী।

ষাটের দশকে মুম্বইতে শুরু হয় এই জুয়া খেলা, স্থানীয় নাম 'মটকা'। পরবর্তীকালে রতন ছেত্রীর হাত ধরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। চল্লিশের দশকে আমেরিকান মাফিয়াদের আবিষ্কৃত ' নাম্বার গেমের ' আদলে এই খেলা। খেলা হয় দিনে দুবার, কোনো ছুটি নেই।

বিশাল একটি এলাকাভিত্তিক ভাবে যারা এই খেলাটি পরিচালনা করেন তাঁকে বলা হয় 'বুকি'। বুকির নীচে থাকেন এজেন্ট, যারা ছোটো ছোটো এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত। এদের নীচে থাকে হাজার হাজার পেনসিলার, পাড়ার মোর বেঞ্চি, অথবা ছোটো পান বিড়ির দোকানে এদের অফিস। গ্রাহকরা খেলতে আসবে পেনসিলারদের কাছে, মুম্বাই থেকে রেজাল্টের খবর প্রথম ফোনে জানবেন বুকি, বুকি থেকে এজেন্ট, এজেন্টদের থেকে খবর পৌঁছে যাবে পেনসিলার দের কাছে।

মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ডি শিবনন্দন জানান, "মটকা জগতের অবিসংবাদী রাজা রতন খাত্রী।" অন্য এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছিলেন, "ওঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। কারণ এই মটকা খেলা এদেশে নিষিদ্ধ। তবে ওঁকে ধরা প্রায় অসম্ভব ছিল। অধিকাংশ সময়ে যাঁরা এই খেলা পরিচালনা করতেন তাঁদের গ্রেফতার করা হত। তবে এই চেনের সবথেকে উপরে থাকতেন রতন খাত্রী।"

পুরোনো সেই দিনের কথা স্মরণ করে তিনি আরো জানাচ্ছিলেন, "সুরেশ খাত্রী খুন হয়ে যাওয়ার পর পুরো সাম্রাজ্য একাই পরিচালনা করতেন রতন। তবে পরের দিকে মটকা ব্যবসা থেকে সরে আসেন তিনি।"

যদিও রতন খাত্রীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জানান, শেষ দিন পর্যন্ত জুয়া খেলা থেকে সরে আসতে পারেননি তিনি। মাঝে মাঝেই মহালক্ষী রেসকোর্স চত্ত্বরে তাঁকে দেখতে পাওয়া যেত।

ষাট থেকে নব্বই- তিন দশক ধরে মুম্বইয়ের একচ্ছত্র দাপট ছিল রতন খাত্রীর। জুয়া সাম্রাজ্যের বেতাজ বাদশা ছিলেন তিনি। সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন মটকা কিং নামে। সেই ব্যক্তিই সোমবার দক্ষিণ মুম্বইয়ে নিজের বাসভবনে মারা গেলেন।

৮৮ বছরের রতন খাত্রী কিছুদিন আগেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তারপর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। তার মধ্যেই এমন কাণ্ড।

জুয়া খেলার এক অভিনব উপায় চালু করেছিলেন খাত্রী। মটকা (মাটির ভাঁড়) থেকে চিট সংগ্রহ করে যে জুয়া খেলা হয়, তার পথ দেখিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে রাজনীতির লোক, রুপোলি জগতের তারকা, পুলিশ- প্রত্যেকের সঙ্গেই দহরম মহরম ছিল।

করাচির এক সিন্ধি পরিবারে জন্ম খাত্রীর। দেশভাগের পর মুম্বইয়ে চলে আসেন। তাঁর বড়ভাই নিউ ইয়র্ক কটন এক্সচেঞ্জে জুয়া খেলতেন। এর পরেই খাত্রী নিজের বড় ভাইয়ের সঙ্গে নিজস্ব বেটিং সিন্ডিকেট খোলেন। যা সেই সময় পরিচিত ছিল 'খাত্রী মটকা' নামে। এতটাই সেই জুয়া খেলা জনপ্রিয় হয় যে প্রতিদিনের টার্ন ওভার ছিল ১ কোটির উপর।

খাত্রী মটকার আগে মুম্বইয়ের 'ওরলি মটকা' কিংবা 'কল্যাণ মটকা' প্রচলিত ছিল। চালাতেন কল্যানজী ভগত। নিউইয়র্ক কটন এক্সচেঞ্জে কটন ট্রান্সমিশনের শুরু আর শেষের রেট ধরে এই জুয়া খেলা হত। উইকএন্ডে নিউইয়র্ক কটন এক্সচেঞ্জ বন্ধ থাকে। এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেন খাত্রী।

ষাটের দশকে মুম্বইতে শুরু হয় এই জুয়া খেলা, স্থানীয় নাম 'মটকা'। পরবর্তীকালে রতন ছেত্রীর হাত ধরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। চল্লিশের দশকে আমেরিকান মাফিয়াদের আবিষ্কৃত ' নাম্বার গেমের ' আদলে এই খেলা। খেলা হয় দিনে দুবার, কোনো ছুটি নেই।

বিশাল একটি এলাকাভিত্তিক ভাবে যারা এই খেলাটি পরিচালনা করেন তাঁকে বলা হয় 'বুকি'। বুকির নীচে থাকেন এজেন্ট, যারা ছোটো ছোটো এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত। এদের নীচে থাকে হাজার হাজার পেনসিলার, পাড়ার মোর বেঞ্চি, অথবা ছোটো পান বিড়ির দোকানে এদের অফিস। গ্রাহকরা খেলতে আসবে পেনসিলারদের কাছে, মুম্বাই থেকে রেজাল্টের খবর প্রথম ফোনে জানবেন বুকি, বুকি থেকে এজেন্ট, এজেন্টদের থেকে খবর পৌঁছে যাবে পেনসিলার দের কাছে।

মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ডি শিবনন্দন জানান, "মটকা জগতের অবিসংবাদী রাজা রতন খাত্রী।" অন্য এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছিলেন, "ওঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। কারণ এই মটকা খেলা এদেশে নিষিদ্ধ। তবে ওঁকে ধরা প্রায় অসম্ভব ছিল। অধিকাংশ সময়ে যাঁরা এই খেলা পরিচালনা করতেন তাঁদের গ্রেফতার করা হত। তবে এই চেনের সবথেকে উপরে থাকতেন রতন খাত্রী।"

পুরোনো সেই দিনের কথা স্মরণ করে তিনি আরো জানাচ্ছিলেন, "সুরেশ খাত্রী খুন হয়ে যাওয়ার পর পুরো সাম্রাজ্য একাই পরিচালনা করতেন রতন। তবে পরের দিকে মটকা ব্যবসা থেকে সরে আসেন তিনি।"

যদিও রতন খাত্রীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জানান, শেষ দিন পর্যন্ত জুয়া খেলা থেকে সরে আসতে পারেননি তিনি। মাঝে মাঝেই মহালক্ষী রেসকোর্স চত্ত্বরে তাঁকে দেখতে পাওয়া যেত।

mumbai Betting Gambling
Advertisment