ফাঁসির আগে মারা গেলে মুশারফের মৃতদেহ তিনদিন ধরে রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখা হবে

পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ, সিন্ধ হাইকোর্টের বিচারপতি নাজির আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদ করিমকে নিয়ে গঠিত এক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ, সিন্ধ হাইকোর্টের বিচারপতি নাজির আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদ করিমকে নিয়ে গঠিত এক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Musharraf

ফাইল ছবি

বৃহস্পতিবার প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা মামলার রায় বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। ১৬৭ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়েছে ফাঁসির আগে মুশারফ মারা গেলে তাঁর লাশ তিনদিন ধরে ইসলামাবাদের ডি চকে ঝুলিয়ে রাখা হবে।

Advertisment

রায়ে বলা হয়েছে, "আমরা আইন বলবৎকারী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিচ্ছি তারা যেন পলাতক অপরাধীকে পাকড়াও করবার সমস্ত রকম চেষ্টা করে এবং আইনানুযায়ী শাস্তি দেবার চেষ্টা করে এবং তাকে যদি মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, তাহলে তার লাশ পাকিস্তানের ইসলামাবাদের ডি চকে টেনে এনে যেন তিন দিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়।"

পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ, সিন্ধ হাইকোর্টের বিচারপতি নাজির আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদ করিমকে নিয়ে গঠিত এক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

Advertisment

আরও পড়ুন: পারভেজ মুশারফের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ

বিচারপতি আকবর অসহমত হলেও বিচারপতি শেঠ এবং করিম মুশারফের অপরাধের ব্যাপারে একমত হয়েছেন।

মুশারফ নিজে তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডকে ব্যক্তিগত আক্রোশজনিত বলে বর্ণনা করেছেন।

৭৬ বছর বয়সী মুশারফ এখন দুবাইতে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক ভিডিওতে মুশারফ বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং "এ এক অভূতপূর্ব মামলা যেখানে অভিযুক্ত বা তাঁর আইনজীবী, কাউকেউ আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেওয়া হয়নি।"

মঙ্গলবার মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সন্ত্রাসবাদরোধ আদালত। ২০০৭ সালে সংবিধান ধ্বংস এবং দেশদ্রোহিতা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।

মুশারফের শাস্তি সেনাবাহিনীকে ব্যাপক ধাক্কা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে ডিজি আইএসপিআপ মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, "একজন প্রাক্তন সেনা কর্তা, পাকিস্তানের এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, যিনি ৪০ বছর ধরে দেশের জন্য লড়াই করেছেন তিনি বিশ্বাসঘাতক হতে পারেন না। সম্ভবত প্রয়োজনীয় আইনি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়নি।"

pakistan