Residents protest in Vadodara: সরকারি প্রকল্পে ফ্ল্যাট বরাদ্দ হয়েছে এক মুসলিম মহিলার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি মোদীরাজ্যে। মুসলিম মহিলাকে কেন ওই আবাসনে ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হয়েছে তার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন হাউসিং সোসাইটির অন্যান্য হিন্দু বাসিন্দারা। বরোদার এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় দেশজুড়ে।
বরোদা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অধীনে হাউজিং প্রকল্পে ২০১৭ সালে একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হয় ওই মুসলিম মহিলাকে। মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের অধীনে মুসলিম মহিলাকে কেন ওই আবাসনে ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হয়েছে তাঁর প্রতিবাদে ২০২০ সাল থেকে আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারা তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন।
সোসাইটির ৩৩ জন বাসিন্দা মুসলিম মহিলাকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ করার প্রতবাদে জেলা শাসক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, মুসলিম মহিলা রাজ্য সরকারের শিল্প উন্নয়ন মন্ত্রকে কর্মরত। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরকুল যোজনার আওতায় ওই মহিলা বরোদা পুরসভার আবাসন প্রকল্পে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন। তিনি এই সোসাইটিতে বসবাসকারী একমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের। বরোদা পুরসভার কমিশনার দিলীপ রানা এই বিষয়ে মন্তব্য করেন নি। জেলা শাসক অর্পিত সাগর ও হাউজিং প্রজেক্ট অফিসার নীলেশ কুমার পারমার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন : < Bird Flu Scare in West Bengal: বার্ড ফ্লু আতঙ্ক! মুরগির মাংস খাওয়ায় নিষেধাঞ্জা? কী জানাল স্বাস্থ্য দফতর? >
২০১৭ সালে ৪৪ বছর বয়সী এক মুসলিম মহিলা এই সোসাইটিতে একটি ফ্ল্যাট পান। ছেলেকে একটি ভাল পরিবেশে মানুষ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু দিন কয়েক পর থেকে হাউসিং সোসাইটির অন্যান্য বাসিন্দারা প্রতিবাদে সামিল হতে শুরু করে। ২০২০ সালে, হাউসিং সোসাইটির অন্যান্য বাসিন্দারা মুসলিম মহিলার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, একজন মুসলিম মহিলার উপস্থিতি সমাজের জন্য 'হুমকিস্বরূপ' এবং 'অবাঞ্ছিত উপদ্রব'-র কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন : < TMC candidate list: চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের, কোন আসনে কে প্রার্থী? >
ওই মহিলা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তার 'অগ্নিপরীক্ষা'র বর্ণনা করে বলেন, “আমি বরোদার একটি মিশ্র পাড়ায় বড় হয়েছি। আমার পরিবার কখনই কোন বদ্ধ সামাজিক ব্যবস্থায় থাকাটা পছন্দ করে না। আমিও আমার ছেলেকে মিশ্র পরিবেশে বড় করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গত ছয় বছরে আমার স্বপ্ন ভেস্তে গেছে। আমার ছেলে এখন দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ছে। কি ঘটছে তাকে ঘিরে? ও সেটা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারছে। সেক্ষেত্রে তার মনে অবশ্যই বিরূপ প্রভাব পড়বে।”
ইতিমধ্যে, সোসাইটির ৩৩ জন বাসিন্দা বরোদার জেলাশাসক, মেয়র, মিউনিসিপ্যাল কমিশনার এবং পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন এই মহিলাকে এই সোসাইটি থেকে বের করে দেওয়ার দাবিতে। তারা দাবি করেছেন ওই মুসলিম মহিলাকে অন্য কোনও স্কিমে অন্য কোথাও ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হোক। তবে ওই মহিলাকে এখানে থাকতে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে মুসলিম মহিলার বিরোধিতা প্রসঙ্গে পুরসভার আবাসন বিভাগ জানিয়েছে, সরকারি আবাসন প্রকল্পে ধর্মের ভিত্তিতে কোনও বৈষম্য নেই।