বিশ্বকে করোনা মুক্ত করতে এই মুহুর্তে একাধিক ভ্যাকসিন কাজ করছে নানা দেশে। ট্রায়ালের পাশাপাশি টিকাকরণের কাজ চলছে জোরকদমে। তবে পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছে না কোনও দেশই। তার একটাই কারণ মিউটেশন। যেভাবে ব্রিটেনের ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে, কিংবা নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে জাপানে, সেখানে ভ্যাকসিন কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
মডার্না, ফাইজার-বায়োএনটেক, জনসন অ্যান্ড জনসন, নোভাভ্যাক এই সব ভ্যাকসিনগুলি করোনার প্রাথমিক রূপ ও কাঠামোর বিরুদ্ধে সফলভাবে কাজ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুব শীঘ্রই নোভাভ্যাক্স এবং জনসন অ্যান্ড জনসন অনুমোদন পেয়ে যেতে পারে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে বর্তমানে করোনার যে মিউটেশন হচ্ছে সেই স্ট্রেনে আংশিকভাবে কাজ করছে ভ্যাসিনগুলি। দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিলে যে স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে তার উপর পরীক্ষা করা হয়েছিল। নতুন ভাইরাস কাঠামোর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনগুলি ৪৯ শতাংশ কার্যকারীতা দেখাচ্ছে।
ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধের সময় নিয়েও পর্যাপ্ত তথ্য নেই বলেই জানা যাচ্ছে। টিকাকরণের পর কোনও ব্যক্তি করোনার হাত থেকে রক্ষা পেলেও তিনি করোনার বাহক হতে পারেন কিনা সেই বিষয়েও বিশেষ কোনও নিশ্চয়তা নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
দেখা গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় যে স্ট্রেন রয়েছে সেখানে অপেক্ষাকৃত কম কার্যকর হচ্ছে ভ্যাকসিনের শটগুলি। নতুন ফলাফলে এটা স্পষ্ট যে করোনার যে মিউটেশন হচ্ছে তার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনগুলি যথাযথভাবে কার্যকর হবে না। শুক্রবার এক সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফৌসি বলেছিলেন, “আমরা আগামী দিনে আরেকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছি।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন