ইস্তফা দিলেন বিহারের সমাজকল্যান মন্ত্রী মঞ্জু বর্মা। সম্প্রতি মুজফফরপুরের একটি হোমে কিশোরীদের যৌন নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, মঞ্জু দেবীর স্বামী ব্রজেশ কুমার এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সূত্রের খবর, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমারের সঙ্গে দেখা করেন মঞ্জু দেবী, এবং ইস্তফা পত্র জমা দেন।
এর আগে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "যদি মন্ত্রী পদস্থ কেউ এই ধরণের নীচ কাজে যুক্ত থাকেন, সেক্ষেত্রে তাঁকেও ছাড় দেওয়া হবে না। কিন্তু কেন এই সমস্যা এখন হচ্ছে? আমরা তাঁকে (মঞ্জু) ডেকে পাঠিয়েছি। তবে তিনি অস্বীকার করেছেন বিষয়টি। এমন ভিত্তিহীন অভিযোগকে কিভাবে সমর্থন করা যায় তা আমার জানা নেই।"
আরও পড়ুন: ভারতে মেয়ে এবং মহিলারা চতুর্দিকে ধর্ষিত হচ্ছেন: সুপ্রিম কোর্ট
সরকারি অর্থে ওই হোম চলার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে সরকারের দিকে। ঘটনাটিতে সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাটনা আদালত। আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যেই সিবিআইকে এই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি মদন বি লোকুর, দীপক গুপ্ত, এবং কেএম জোসেফের একটি বেঞ্চ এই ঘটনায় বিহার সরকারকেই দায়ী করেছেন। শীর্ষ আদালত বলেন, সরকারের টাকাতেই চলত এই হোম। বলেন, সরকার জনগণের টাকা এখানে দিয়েছে, কিন্তু রাজ্য এমনটা হওয়ার সুযোগ দিল কীভাবে? এই হোম সরকারি টাকাতেই চলত, সুতরাং বলা যেতে পারে এই ঘটনাকে প্রশ্রয় দিয়েছে রাজ্য।