বিহারের মুজফ্ফরপুরের হোমে শিশুদের হত্যার কোনও প্রমাণ মলেনি। সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। মুজফ্ফপুরে শিশু মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তারই তদন্ত করছে সিবিআই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুশারে, দুটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছিল। তবে, ফরেন্সিক তদন্তে দেখা গিয়েছে সেগুলি প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষের। এর আগে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল, মুজফ্ফরপুরের হোমে ১১ জন মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
প্রধান বিচারপতি বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ট্য়াটাস রিপোর্ট এদিন কোর্ট গ্রহণ করে তদন্ত থেকে দুই অফিসারকে অব্যাহতি দিয়েছে। সিবিআইয়ের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। কোর্টে তিনি জানান, 'শিশুদের উপর ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগে তদন্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন: অমিত শাহর সামনে সিএএ-বিরোধী ব্যানার, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ দুই মহিলা
এছাড়াও বলা হয়, ''সিবিআই ১৭ হোমের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে, ১৩টি ক্ষেত্রে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। চারটির ক্ষেত্রে প্রাথমিত তদন্ত করা হয়। এরপরেও অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও প্রমাণ মেলেনি।''
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর অডিটে মুজফ্ফরপুর-সহ বিহারের বেশ কয়েকটি হোমে আবাসিকদের মারধর ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ওই ঘটনাগুলি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। মুজফ্ফরপুরের ঘটনায় হোমের মালিক ও প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ব্রজেশ ঠাকুর-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই।
এই মামলার তদন্ত করছিলেন সিবিআইয়ের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অভয় সিং। গত ৩রা জানুয়ারি তাঁকে কলকাতার স্পেশাল ক্রাইম বার্ঞ্চ থেকে সংস্থার দিল্লির ইকোনমিক অফেন্স শাখায় বদলি করা হয়। এর আগে গত বছর ৩ জুনের মধ্যে এই খুনের অভিযোগের তদন্ত শেষ করতে তদন্তকারীদের নির্দেশ দিয়েছিল আদলত। কিন্তু সিবিআই জানিয়েছিল, তাদের আরও সময় প্রয়োজন।
Read the full story in English