/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/07/cats-152.jpg)
দলিত কিশোরীর মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। রাজস্থানে ১৯ বছরের দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহ। বিজেপি-বিএসপির নিশানায় গেহলট সরকার।
ঘটনায় রাজনীতির রঙ লেগেছে। নিহত কিশোরীর মা ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “মেয়ের সঙ্গে যে এমন করেছে তার শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা চাই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কঠোরতম শাস্তি দিক”।
রাজস্থানের করৌলিতে একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় বছর ১৯-এর এক দলিত তরুণীর মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির শরীরেও গুলির চিহ্নও রয়েছে। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের পাশাপাশি তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে নিহতের পরিবারের দাবি, খুনের আগে মেয়েকে ধর্ষণও করা হয়েছে। ময়াতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পুলিশ ধর্ষণের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায় নি। নিহত কিশোরীর মা ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “মেয়ের সঙ্গে যে এমন করেছে তার শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা চাই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তি দিক"। উল্লেখ্য ১২ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল দলিত কিশোরী।
অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনীতিও। দলিত কিশোরী খুনের অভিযোগে রাজ্যের গেহলট সরকারকে নিশানা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই ঘটনায় ধর্নায় বসেছেন বিজেপি কর্মীরা। একইসঙ্গে এই ঘটনা নিয়ে গেহলট সরকারকেও নিশানা করেছে বিএসপি। এসবের মাঝেই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের লোকজন বলছেন, ‘আগে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেনি। নিহতের পরিবার বারেবারে পুলিশকে জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে তাদের মেয়ে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজের বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ প্রথমে মামলা দায়ের করেনি বলেও অভিযোগ মৃত কিশোরীর পরিবারের। তাদের আরও অভিযোগ পুলিশ প্রথম থেকে গুরুত্ব সহকারে বিষয়টিকে বিবেচনা করতে এভাবে মেয়েকে হারাতে হত না।
এই ঘটনার বিষয়ে করৌলি জেলাশাসক অঙ্কিত কুমার সিং বলেছেন যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। সব দিক খোলা রেখেই তদন্ত চালানো হচ্ছে। আমরা নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ঘটনার পর নিহতের পরিবার দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি উঠেছে। পাশাপাশি নিহতের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।
জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন, “আমরা এই বিষয়ে বেশ কিছু কিছু ইনপুট পেয়েছি, যার ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা করছি। আমরা নিহত কিশোরীর মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি কিন্তু তিনি ঘটনায় কারুর প্রতি কোন সন্দেহ প্রকাশ করেনি”।