ভয়াবহ বিমান হামলা, বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মিজোরাম সীমান্ত, যুদ্ধের ইঙ্গিত?

অসম রাইফেলস মায়নামারের সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।

অসম রাইফেলস মায়নামারের সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Myanmar, Myanmar violence, Myanmar air strike, Myanmar attack on rebels, Myanmar military violence, Myanmar Aung San Suu Kyi, Myanmar coup news, Myanmar news, Indian Express

বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মিজোরামের সীমান্ত, ভয়াবহ বিমান হামলা চালাল মায়নামার সেনা, চূড়ান্ত আতঙ্ক সীমান্তবর্তী এলাকায়। মিজোরামের সীমান্তে বোমা বর্ষণ করেছে মায়ানমার। মিজোরাম সংলগ্ন সীমান্তে সন্ত্রানবাদী-সংগঠনের ক্যাম্প লক্ষ্য করে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে মায়নামার সেনাবাহিনী। দুই দেশের সীমানায় অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের একটি ক্যাম্প লক্ষ্য করে ওই বোমা ফেলা হয়। এই হামলায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বেশ কিছু লোকের হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও ভারতীয় সেনাসূত্রে খবর, এই বিমান হামলায় ভারতীয় সীমান্তে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।  

Advertisment

তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) মায়ানমারের জান্তার নির্দেশে চিন ন্যাশনাল আর্মির (সিএনএ) ভিক্টোরিয়া ক্যাম্পে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। চিন ন্যাশনাল আর্মি মায়নামারের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছে। CNA-এর সদর দফতর মায়নামার সীমান্তবর্তী ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মিজোরামের ভিক্টোরিয়া ক্যাম্পে। এই সদর দফতরেই মায়নামার সেনাবাহিনী তাদের ফাইটার জেট বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করে। এই বোমা হামলায় সিএনএর কিছু সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে বলে খবর।

এই বিমান হামলার পর কিছু আন্তর্জাতিক মিডিয়া তাদের প্রকাশিত সংবাদে জানায় বেশ কিছু বোমা ভারতের দিকেও আছড়ে পড়েছে। যদিও এই রিপোর্টগুলিতে কোনও হতাহতের কোনও তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। তবে ভারত জানিয়েছে এটি সম্পুর্ণ গুজব। গুজবটি চিন ন্যাশনাল আর্মির কিচু সদস্য ছড়িয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভুল।

আরও পড়ুন: < শিশুমৃত্যুর জের, কাশির সিরাপ ব্যবহার না করার পরামর্শ, WHO-এর ‘স্ক্যানারে’ কোন কোন ওষুধ? >

Advertisment

অসম রাইফেলস মায়নামারের সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। অসম রাইফেলস সূত্রে খবর মায়নামার সেনাবাহিনীর বিমান হামলা তাদের নিজস্ব ভূখণ্ডে করা হয়েছে।  ভারতের ওপর এই পদক্ষেপের কোন প্রভাব পড়েনি।

গত দু বছর ধরে প্রতিবেশী দেশ মায়নামারে সামরিক শাসন চলছে, যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে অনেক ‘বিদ্রোহী সংগঠন’। এই বিদ্রোহী সংগঠনগুলো ভারতের সংলগ্ন সীমান্ত থেকে কাজ করে। মঙ্গলবারের বিমান হামলার আগেও মায়নামার সেনাবাহিনী ভারত সীমান্তের কাছাকাছি বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতেও, আরাকান-আর্মির বিরুদ্ধে মায়নামার সেনাবাহিনী একটি বড়সড় অভিযান শুরু করে।

Myanmar air strikes