তৃতীয়বারের জন্য নবান্নে বসেই সরকারি কর্মীদের ‘উপহার’ ঘোষণা মমতা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য উৎসব অ্যাড হক বোনাসের ঘোষণা করা হল। পাশাপাশি পেনশনভোগীদের জন্য এককালীন ভাতার ঘোষণা হয়েছে বৃহস্পতিবার।
একটি নির্দেশিকায় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সর্বনিম্ন সাড়ে ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত অ্যাডহক বোনাস দেওয়া হবে। যা আগামী ১০ মাসের মধ্যে শোধ করতে হবে সরকারি কর্মীদের। যে সব কর্মীর মাসিক আয় ৩৬ হাজার টাকা পর্যন্ত, শুধু তাঁরাই এই সুবিধা পাবেন। এ ছাড়াও পেনশনভোগীদের জন্য এককালীন আড়াই হাজার টাকার ভাতা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
সুত্রের খবর, এবারের ভোটে মহিলা, সংখ্যালঘু বাদেও সরকারি কর্মীদের একাংশ ঢেলে ভোট দিয়েছে তৃণমূলকে। গণনার দিন ব্যালটের ফল থেকেই স্পষ্ট। সেই ‘কৃতজ্ঞতা’ থেকেই এই বোনাসের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
এদিকে, শীতলকুচি-কাণ্ডে আনন্দ বর্মণ-সহ পাঁচজনেরই পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, প্রত্য়েকেরই মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হবে। প্রত্যেকেই বিচার পাবেন। নিহত আনন্দ বর্মণের পরিবার বিজেপি সমর্থক হলেও সাহায্য ও বিচারের ক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদ করেননি মুখ্যমন্ত্রী।
ভোটের মধ্যেই কথা দিয়েছিলেন, শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করিয়েই ছাড়বেন। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই সেই কথা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই বলছে তৃণমূল। শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করলেন তিনি। এর আগে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এবার সিটও তৈরি করলেন মমতা।
রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিট গঠন করে শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা হচ্ছে। আর আজ, বৃহস্পতিবারই শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারকে ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে। তলব করা হয়েছে মাথাভাঙা থানার আইসি-কেও। এদিকে, এদিনই মমতা ঘোষণা করেন, শীতলকুচির নিহতদের পরিবারের একজনকে রাজ্য সরকারি চাকরি দেওয়া হচ্ছে। বুধবারই কোচবিহারের এসপি-কে সাসপেন্ড করেছে নবান্ন। প্রথমে অপসারণ, তারপর সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই আইপিএস-কে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, শীতলকুচি নিয়ে সিআইডি তদন্ত চালাচ্ছে। ওখানে পাঁচজন মারা গিয়েছিল, “চারজন রাজবংশী মুসলিম, একজন হিন্দু মারা গিয়েছে। পাঁচজনের পরিবারকেই আমরা পাঁচটা হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি। এই প্রতিশ্রুতিটা আমরা আগেই দিয়েছিলাম যে আমরা করব। আমরা দিচ্ছি ওদের চাকরি।‘