সুপ্রিম কোর্টে ফের চ্যালেঞ্জের মুখে সিবিআই-এর অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টরের পদে এম. নাগেশ্বর রাও-এর নিয়োগ। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'কমন কজ'-এর পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর হিসাবে নাগেশ্বর রাও-কে কাজ চালিয়ে যাওয়ার যে নির্দেশ কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের নিয়োগকারী প্যানেল ১০ জানুয়ারি দিয়েছে, তা এখন ফের আদালতের বিচারাধীন। 'কমন কজ'-এর আবেদন, সরকারকে স্থায়ী ডিরেক্টর নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হোক।
অলোক ভার্মাকে পুনরায় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশে সিলমোহর দেয় নিয়োগকারী প্যানেল। এরপরই আপাততভাবে ফের নাগেশ্বর রাও-এর হাতে সিবিআই-এর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। দায়িত্ব পেয়েই ভার্মার জারি করা বদলির নির্দেশ স্থগিত করেন নাগেশ্বর রাও। এর পাশাপাশি, চার আধিকারিককে যুগ্ম ডিরেক্টরের পদে বদলির নির্দেশ দেন তিনি। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নিয়োগ কমিটি তাঁকে সিবিআই থেকে হোমগার্ডে সরিয়ে দেওয়ার পর, চাকরি থেকে ইস্তফা দেন আইপিএস অলোক ভার্মা।
আরও পড়ুন- ‘‘দুর্নীতির প্রমাণ নেই, ভার্মাকে নিয়ে সিলেক্ট কমিটির সিদ্ধান্ত হঠকারী’’
উল্লেখ্য, সিবিআই-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক ভার্মা এবং প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন। এরপরই অক্টোবরে এই দুই শীর্ষকর্তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট। সে সময় সিবিআই-এর অন্তরবর্তীকালীন দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় আইপিএস অফিসার এম. নাগেশ্বর রাও-এর হাতে।
সুপ্রিম কোর্টে নাগেশ্বরের পদ প্রাপ্তি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লে আদালত জানিয়ে দেয়, তিনি কেবল দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করবেন। এর বাইরে কোনও প্রকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয় তাঁকে। পরবর্তী সময়ে সিভিসি-র তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার পর সুপ্রিম কোর্ট জানায় অলোক ভার্মার অপসারণের পদ্ধতি ছিল অবৈধ। নিয়োগকারী প্যানেলই কেবল অপসারণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু ভার্মাকে প্রথমবার পদ থেকে অপসারণের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে, সুপ্রিম কোর্ট ভার্মাকে সিবিআই ডিরেক্টরের পদে পুনর্বহাল করে। পাশাপাশি, জানিয়ে দেয়, দিল্লি বিশেষ পুলিশ আইন অনুযায়ী সিভিসি-র তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ভার্মার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নিয়োগকারী প্যানেল।
আরও পড়ুন-আমি অবসর নিলাম, বললেন অলোক ভার্মা
প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দেশের প্রধান বিচারপতি (এক্ষেত্রে রঞ্জন গগৈ বিচারপতি সিক্রিকে তাঁর প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিলেন)-র প্যানেলে সংখ্যা গরিষ্ঠের মতে ভার্মার অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপরই ফের পদে ফেরানো হয় এম. নাগেশ্বর রাওকে। এবার আবারও তাঁর পদপ্রাপ্তি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে।
Read the full story in English