অকারণে নাগপুর শহরে ঘুরলেই বিপদ! এমন ১২ জনকে সরকারি কোয়ারান্টিনে পাঠিয়েছে নাগপুর পুলিশ। পাশাপাশি এভাবে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাফেরা নাগরিকদের ধরে চলছে অ্যান্টিজেন টেস্ট। নাগপুর পুলিশ এবং পুরনিগম যৌথভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে। করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য মহারাষ্ট্রের সেই শহরে চলছে জনতা কার্ফু। ফলে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরলেই পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে নাগরিকদের।
জানা গিয়েছে, শহরের ২৫৫টি চেক পয়েন্টে এই অ্যান্টিজেন টেস্ট চলছে গত ১৪ দিন ধরে। ১৮ জনের সংক্রমণের ধরা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে সরকারি হোমে কোয়ারান্টিন করা হয়েছে। পাশাপাশি মাস্ক ছাড়া ঘুরেছে এমন ২৬৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। ৬১৯ জন এমন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা সামাজিক দুরত্ব বিধি লঙ্ঘন করেছেন।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের জেরে ক্ষতির পরিমাণ কী হতে পারে সেই ভয়াবহতা ২০২০তে দেখেছে ভারত। আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি ঠেকেছিল তলানিতে। একুশে ফের দাপট বাড়ছে করোনার। লকডাউন হয়নি, তবে যে হারে মৃত্যু ও আক্রান্ত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে সেখানে আগামী দিনে জটিল হতে চলেছে পরিস্থিতি এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছেন নীতি আয়োগের (Niti Aayog) ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার।
রবিবার তিনি বলেন কোভিড ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে গ্রাহকদের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের “বৃহত্তর অনিশ্চয়তার” জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা দরকার। এমনকী সরকারেরও উচিত রাজস্ব নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বর্তমান পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ছে এমনটাই জানালেন নীতি আয়োগ কর্তা।
তবে কেবল নিরাশা নয়। কিছুটা আশাবাদী সুরে রাজীব কুমার এও বলেন, চলতি অর্থবছরে ২০২২ সালের ৩১ শে মার্চ-এ শেষ হওয়া দেশের অর্থনীতি ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। দেশে আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে কোভিড নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশের একাধিক রাজ্য। প্রাথমিকভাবে ভারত করোনা জয়ে এগিয়ে থাকলেও ব্রিটেন সহ বেশ কিছু দেশের ভাইরাসের জন্য ফের কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে ভারতকে।