Advertisment

দাভোলকর হত্যা মামলা: অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করল সিবিআই

সিবিআই মনে করছে ২০১৫-র এম এম কালবুর্গি এবং গোবিন্দ পানসারে হত্যার সঙ্গে নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যার যোগ রয়েছে। "শুধুমাত্র আদর্শ এবং বিশ্বাসের ফারাকের জন্য হত্যা করা হয়েছে ওঁদের। সমাজে সন্ত্রাস ছড়িয়েছেন দাভোলকরের হত্যাকারীরা", জানিয়েছেন এক সিবিআই আধিকারিক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নরেন্দ্র দাভোলকর

২০১৩ সালের আগস্ট মাসে পুনের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল নরেন্দ্র দাভোলকরকে। কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করা মুক্ত চিন্তার দাভোলকরের হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে চলতি বছরের আগস্টে-সেপ্টেম্বরে। এবার অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করল সিবিআই।

Advertisment

সোমবার পুনে আদালতে জমা দেওয়া এক রিপোর্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা  ইউএপিএ-র ১৫ এবং ১৬ নম্বর ধারা প্রয়োগ করেছে। ১৫ নম্বর ধারায় এই ঘটনা সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের আওতায় পড়ে। ১৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী ভুক্তভোগীর মৃত্যু হলে হত্যাকারীর শাস্তি হতে পারে হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হয় ফাঁসি।  মামলার তদন্তকারী আধিকারিক এএসপি এস আর সিংএর রিপোর্ট পেশ করেছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম এ সায়েদের কাছে।

দেশের আইন অনুসারে কোনো ব্যাক্তিকে গ্রেফতারের ৯০ দিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগ করতে হয়।  তদন্তকারী সংস্থা এরপর আরও ৯০ দিন মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করতে পারে আদালতে।

আরও পড়ুন, গৌরী লঙ্কেশ মৃত্যুবার্ষিকী: তদন্তে সাফল্যের মুখ, গুলি চালিয়েছিল ওয়াগমারেই

নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যা মামলায় সিবিআই এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। ৫ জনকে চলতি বছরের আগস্টে এবং সেপ্টেম্বরে।  হত্যাকাণ্ডের মূলচক্রী  ইএনটি সার্জন এবং সনাতন সংস্থার সদস্য ডঃ ভিরেন্দ্র তাওদেকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৬-এর জুন মাসে।

আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৮ সালে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা হয় সনাতন সংস্থা না হয় হিন্দু জনজাগ্রুতি সমিতির সদস্য। সিবিআই-এর দাবি, অভিযুক্তদের মধ্যে শচিন আন্দুরে এবং শরদ কালাস্কার ২০১৩ সালের ২০ আগস্ট সকালে  নরেন্দ্র দাভোলকরকে লক্ষ করে গুলি ছোড়েন। বাকি তিন অভিযুক্ত অমল কালে, অমিত দিগবেকর এবং রাজেশ বাঞ্জেরাকেও নিজের হেফাজতে রেখেছে সিবিআই।

সিবিআই মনে করছে ২০১৫-র এম এম কালবুর্গি এবং গোবিন্দ পানসারে হত্যার সঙ্গে নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যার যোগ রয়েছে। "শুধুমাত্র আদর্শ এবং বিশ্বাসের ফারাকের জন্য হত্যা করা হয়েছে ওঁদের। সমাজে সন্ত্রাস ছড়িয়েছেন দাভোলকরের হত্যাকারীরা", জানিয়েছেন এক সিবিআই আধিকারিক।

দাভোলকর হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী ধরমরাজ চান্দেল বলেছেন এই মামলায় ইউএপিএ প্রয়োগ করা যায় না। আইনে যেহেতু ৯০ দিন মেয়াদ বাড়ানোর বিকল্প আছে, তদন্তকারী সংস্থা ইচ্ছে করে সময় নষ্ট করছে। সিবিআই-এর দাবি সত্যি প্রমাণ করার মতো কিছু পাওয়াই যায়নি।

Read the full story in English

gauri lankesh Murder
Advertisment