জানুয়ারিতেই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ২২ জানুয়ারি নিজের হাতেই রামলালাকে নতুন মন্দিরে প্রবেশ করাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী! জমকালো আয়োজন চমকে দেবে। শুক্রবারই ট্রাস্ট-এর তরফে জ্জানানো হয়েছে, উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যজমানের ভূমিকা পালন করবেন। অর্থাৎ পুজোর আয়োজনের অনেকটাই তিনি নিজে হাতে করবেন।
অস্থায়ী মন্দিরে থাকা রামলালার মূর্তি নিজের কোলে করে নিয়ে অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরে গর্ভগৃহে সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। রামমন্দির নির্মান কমিটির সূত্রে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রী রামের মহিমান্বিত পুজো উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, রামলালার মূর্তি কোলে নিয়ে নিয়ে নতুন মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গর্ভগৃহ মানে সেই অংশ যেখানে রামলালা তাঁর স্থায়ী আসনে বসবেন।
যোগী ও ভাগবত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে
রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে সূত্রের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় সকাল ১১.৩০-১২.৩০-এর মধ্যে সম্পন্ন হবে। রামলালার ৫ ফুটের মূর্তিটি প্রায় ৫০০ মিটার কোলে নিয়ে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে ঋষি-সাধুরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রাণ প্রতিস্থার আগে শ্রী রামের কাছে একটি প্রার্থনা করা হবে, তারপরে তাকে তার স্থায়ী আসনে বসানো হবে।
দেশের একাধিক পবিত্র নদীর জল দিয়ে শ্রী রাম লালার মূর্তিকে স্নান করানো হবে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন হাজার হাজার ঋষি-সাধু।তারা দেশের বিভিন্ন পবিত্র নদী থেকে জল নিয়ে আসবেন। সমস্ত জল মিশিয়ে স্নান করানো হবে রাম লালার মূর্তিটিকে।
ট্রাস্ট ৮০০০ জনকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে
ট্রাস্ট অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৮ হাজার জনকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। বেশিরভাগ সাধু, কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং কিছু শিল্পপতি রয়েছেন এই তালিকায়। সেই সব পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যারা রাম মন্দির আন্দোলনে তাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন।