৯৭ তম ‘মন কি বাত’ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এটি ২০২৩ সালের ‘মন কি বাত’-এর প্রথম পর্ব। এই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর সামনে 'নতুন ভারত' সম্পর্কে তাঁর চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে নিজের ভাবনার কথাও দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আবারও ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে 'নতুন ভারত' সম্পর্কে তাঁর চিন্তা-ভাবনা ভাগ করে নেন। এ ছাড়াও তিনি উপজাতী সমাজের ভূমিকা এবং পদ্ম পুরস্কারপ্রাপকদের কৃতিত্ব নিয়েও আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে বেশ কিছু দিক সত্যিই প্রশংসনীয় হচ্ছে। তিনি বলেন, ২৬ জানুয়ারি কুচকাওয়াজে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ দেশের এক নতুন দিক খুলে দিয়েছে। লাগলো। ‘মহিলা উট আরোহী’ এবং সিআরপিএফের মহিলা দল যারা প্রথমবারের মতো এই কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিল তাদেরও দক্ষতার প্রশংসা করেন মোদী।
মন কি বাত চলাকালীন, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র এবং আমরা ভারতীয়রা এই ভেবে গর্বিত যে আমাদের আমাদের ‘ভারত মাতা’ বিশ্বের গণতন্ত্রের জননী। গণতন্ত্র আমাদের শিরায়, আমাদের সংস্কৃতিতে রয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমাদের ‘কার্যক্রমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ’।
বিপুল সংখ্যক পদ্ম পুরস্কারপ্রাপকদের তালিকায় এবার স্থান করে নিয়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদের কৃতিত্বের কথা স্মরণ করে মোদী বলেন, আদিবাসী মানুষের জীবনযাত্রা শহরের মানুষের জীবনযাত্রা থেকে আলাদা, আদিবাসী সমাজের নিজস্ব চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এত কিছুর পরও আদিবাসী সমাজ তাদের ঐতিহ্য বাঁচাতে সদা তৎপর। আদিবাসী ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং গবেষণার প্রচেষ্টা আজও রয়েছে। একইভাবে, টোটো, হো, কুই, কুভি এবং মান্দার মতো উপজাতীয় ভাষায় কাজ করা অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি পদ্ম পুরস্কার পেয়েছেন। এটা আমাদের সকলের জন্য গর্বের বিষয়।