/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/modi-time.jpg)
আতিশ তাসীর লিখেছিলেন এই প্রবন্ধটি
লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপির জয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই টাইম ম্যাগাজিনে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রবন্ধের বিষয়বস্তু হল আর কোনও প্রধানমন্ত্রী এর আগে ভারতকে এভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি। কয়েক সপ্তাহ আগেই এ পত্রিকায় মোদীকে নিয়ে প্রচ্ছদকাহিনি করেছিল, তার নাম ছিল 'ডিভাইডার ইন চিফ'।
এবারের প্রবন্ধের নাম 'মোদী হ্যাজ ইউনাইটেড ইন্ডিয়া লাইক নো প্রাইম মিনিস্টার ইন ডিকেডস'। এর লেখক মনোজ লাডওয়া লন্ডন ভিত্তিক সংবাদপত্র গোষ্ঠী ইন্ডিয়া আইএনসি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ এক্সিকিউটিভ।
বিজেপি এবার ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৩০৩টি আসন পেয়েছে। লাডওয়া তাঁর প্রবন্ধে লিখেছেন, "মোদীর প্রথম দফায় এবং এবারের ম্যারাথন নির্বাচনকালে তাঁকে কড়া এবং অন্যায় সমালোচনার মুখে পড়লেও অন্য কোনও প্রধানমন্ত্রী দেশের ভোটরদের গত পাঁচ দশকের মধ্যে এভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি।"
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/modi-time-mag.jpg)
লডওয়া আরও লিখেছেন, "মোদী ব্যাপক জানাদেশ পেয়েছেন তার কারণ তিনি দেশের শ্রেণিবিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছেন।" ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর প্রচারের সময়ে মোদীর রিসার্চ অ্যনালিসিস অ্যান্ড মেসেজিং ডিভিশনের নেতৃত্বে ছিলেন লডওয়া।
সাম্প্রতিক প্রবন্ধটি আলোচ্য হয়ে উঠেছে টাইম ম্যাগাজিনের আগের কভার স্টোরির সাপেক্ষে। সে প্রবন্ধটি লিখেছিলেন ভারতীয় সাংবাদিক তভলিন সিং এবং প্রাক্তন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ-ব্যবসায়ী সলমন তসীরের ছেলে আতিশ তাসীর।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় দফায় মোদীর কী করা উচিত সে নিয়েও লিখেছেন লডওয়া। আমলাতন্ত্রে পরিবর্তন আনার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে দ্বিতীয় দফাতেও প্রথমবারের মত জনপ্রিয়তার রাস্তায় হাঁটার হাতছানি পরিত্যাগ করা উচিত বলে মত দিয়েছেন লডওয়া।
লডওয়া লিখেছেন "মোদীর প্রয়াস শুধু বিশ্বের প্রতিটি নাগরিককেই মুগ্ধ করেছে নয়, তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে প্রতিটি সংস্থাও- যথা আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং রাষ্ট্রসংঘও।"
তিনি আরও লিখেছেন, "বিভিন্ন সামাজিক সংকটের সময়ে মোদীর নীরবতাকে সমালোচনা করা হয়েছে। কিন্তু ভোটবাক্সে তাঁকে সমর্থন জানিয়ে ভারতীয় ভোটাররা বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদী ভারতের বিভাজনের অন্তর্নিহিত কারণগুলি নিয়ে ভাবিত। তাঁদের কাছে মোদীর নয়া ভারতের স্বপ্ন অটুট রয়েছে।"
Read the Story in English