International Tiger Day: ভালো আছে আমাদের দেশের বাঘেরা, সোমবার বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবসে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি বাঘেদের সুরক্ষার সমস্ত রকম প্রতিশ্রুতিও দেন। একই সঙ্গে তিনি প্রকাশ করেন অল ইন্ডিয়া টাইগার এস্টিমেশনের চার বছরের রিপোর্টও। মোদী বলেন, "ভারতে বাঘের সংখ্যা আজ তিন হাজারের কাছাকাছি। এই মুহুর্তে বাঘেদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ভারতই সবচেয়ে নিরাপদ।"
আরও পড়ুন: ফের গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ, ঘটনাস্থল নদিয়া
ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথোরিটি এবং বন দফতরের যৌথ উদ্যোগে চার বছর অন্তর অন্তর বাঘ সুমারির একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ২,২২৬। চার বছর পরে ২০১৮ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৯৬৭। সোমবার সেই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশের পর মোদী বলেন, "এক থা টাইগার থেকে আমরা টাইগার জিন্দা হ্যায় অবধি পৌঁছেছি। কিন্তু এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। ন'বছর আগে সেন্ট পিটার্সবার্গে ঠিক হয়েছিল যে ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা চার বছর আগেই সেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি।"
আরও পড়ুন: উন্নাওয়ের নির্যাতিতার গাড়ি দুর্ঘটনা ‘পরিকল্পিত চক্রান্ত’, দাবি পরিবারের
Development and the environment are not mutually exclusive.
India will progress economically and take the lead in protecting the environment. #InternationalTigerDay pic.twitter.com/RjcBMGpFvh
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2019
ভারত যে উন্নয়ন এবং পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আগামীতে ভারত দেশের জনগণের জন্যও বাসস্থানের ব্যবস্থা করবে। অন্যদিকে পশুদের জন্যও নিরাপদ আশ্রয়স্থান তৈরি করা হবে। ভারতে যেমন উন্নয়নের কাজও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে তেমনই সুস্থ পরিবেশ গড়ার দিকেও নজর দিচ্ছে।"
বাঘ সংরক্ষণ সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ভি বি মাথুর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "দেশে যেসব জায়গায় বাঘ ছিলই না, সেখানে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।" তবে মানুষের সঙ্গে কি বাসস্থান বৃদ্ধি নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হতে পারে? সেই বিষয়ে ভি বি মাথুর বলেন, "সেখানেই চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। তবে ভারতে যে পরিমাণ জঙ্গল আছে সেখানে অবশ্যই আরও বাঘের সমন্বয় করা যেতেই পারে। যেহেতু এখন থেকে আমরা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত করিডোরগুলির যত্ন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি, সংরক্ষণের মাধ্যমে সেই লক্ষ্য আমরা শীঘ্রই পৌঁছতে পারব।"
Read the full story in English