জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদে পাঁচ মাস পর শনিবার উপত্যকা পরিদর্শনে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একটি দল। যাত্রা শুরুর আগে শুক্রবারই তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠক থেকেই মোদী নির্দেশের সুরে তাঁর মন্ত্রীদের বলেন, এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া যাবে না। বরং হারানো সময়কে ফেরত দিতে হবে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের। মনোনিবেশ করতে হবে জনসংযোগে। এমনকী নগর পরিদর্শন শেষে জম্মু বা শ্রীনগরে না ফিরে গ্রামগুলিতেই মন্ত্রীদের রাত্রিবাসের নির্দেশ দেন নমো।
আরও পড়ুন: ‘সিএএ কার্যকর করব না বলাটা অসাংবিধানিক’, মত কংগ্রেসের কপিল সিবালের
বৈঠক প্রসঙ্গে সূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীর পরিদর্শনকারী মন্ত্রীদের বলেন যে তাঁরা যেন তাঁদের এই যাত্রায় কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য না রাখেন। এখানে কোনও রাজনীতি নয়, বরং সেখানকার সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, ছাত্র-যুব, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মন জয় করা উচিত। হারানো সময় ফিরিয়ে দিতে হলে তাঁদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে, তাঁদের হৃদয় ও মন জয় করার উপরই জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।"
আরও পড়ুন: অমিত ছায়ায় দল পরিচালনা করবেন নাড্ডা
শুক্রবারের বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীর ছাড়াও আগামী পাঁচ বছরে কোন পথে এগোবে তাঁর সরকার সে দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রী এবং শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে বৈঠকও সারেন মোদী। সরকারিস্তরে দশটি দলের সচিবেরা সে বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা উপস্থাপনও করেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সূত্র জানায়, বৈঠকে শীর্ষ আমলাদের উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, সরকারি সমস্ত কাজের ফাইলগুলি যদি বিদেশ সফরের ফাইলের মতো দ্রুত পাস করিয়ে দেওয়া যায় তাহলে "সরকার অনেকটা ভালো জায়গায় থাকতে পারবে।" পাশাপাশি মোদী দেশের উল্লেখযোগ্য ভ্রমণস্থানে 'স্ট্যাচু অব ইউনিটি'-কে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শও দেন এবং দেশে ব্যবসায়ে স্বাচ্ছন্দ্যে আনতে সুরক্ষার দিকে বিশেষভাবে মনোনিবেশ করার কথাও বলেন।
শনিবারই জম্মু ও কাশ্মীর পৌঁছেছেন জিতেন্দ্র সিং, অশ্বিনী চৌবে এবং অর্জুন মেঘওয়াল নেতৃত্বাধীন একটি দল। আগামি কয়েক সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীর পরিদর্শনে যাবেন আরও ৩৬ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।
Read the full story in English