রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই-সহ সন্ত্রাস, মাদকের একাধিকক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েও রাষ্ট্রসংঘকে আশার আলো দেখালেন। তাঁর বক্তব্যের সারাংশ হল-
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যখন সবার একজোট হওয়ার কথা ছিল, সেই ৮-৯ মাস কোথায় ছিল রাষ্ট্রসংঘ? অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ভারতের ১৩০ কোটি মানুষ রাষ্ট্রসংঘকে শ্রদ্ধা করে। কিন্ত ভারতীয়রা রাষ্ট্রসংঘে সংস্কারের অপেক্ষায় রয়েছে এটাও সত্য। আর কতদিন রাষ্ট্রসংঘে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার থেকে দূরে থাকবে ভারত?
এখনকার বিশ্বের থেকে ১৯৪৫ সালের দুনিয়া অনেক আলাদা। বর্তমানে বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতি এবং চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার ধরন অতীতের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন না করলে পরবর্তীকালে পরিবর্তনের সদিচ্ছাও দূর্বল হয়ে যায়।
ভারত সবসময় মানবজাতির স্বার্থের কথা ভেবে এসেছে। নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়নি। ভারতীয় দর্শনের নীতি এই পথেই বরাবর চলে এসেছে। প্রতিবেশী আগে নীতি থেকে একাধিক বিষয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বৃদ্ধির জন্য সমস্ত অঞ্চলে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে সর্বদা মানবজাতির কল্যাণের জন্য ভারত করেছে। নিজের স্বার্থ দেখেনি।
বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে আমি আজ বিশ্বকে আরও একটি আশ্বাস দিতে চাই। ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং সরবরাহ ক্ষমতা এই সংকট মোকাবিলায় সমস্ত মানবতাকে সহায়তা করতে ব্যবহৃত হবে।
এক দেশের প্রতি ভারতের বন্ধুত্বের যে কোনও ভঙ্গি কোনও তৃতীয় দেশের বিরুদ্ধে নির্দেশিত নয়। ভারত যখন তার বিকাশের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করে, তখন তা অংশীদার দেশকে নির্ভরশীল বা অসহায় করে তোলার কোনও জঘন্য উদ্দেশ্য নিয়ে নয়।
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে ভারত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসাবেও তার দায়িত্ব পালন করবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন