করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় উত্তরপ্রদেশ সরকার দারুণ কাজ করেছে। বৃহস্পতিবার বারাণসীতে একগুচ্ছ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সূচনায় এসে যোগী প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এদিন বারাণসীর উন্নয়ন নিয়েও অনেক কিছু বলেন মোদী। তিনি বলেন, "পরিকাঠামো উন্নয়নের নিরিখে অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে কাশীতে। এই শহর দেখিয়েছে কঠিন সময়েও ক্লান্ত হওয়া বা থামা শেখেনি।"
মোদী এদিন বলেন, "গত কয়েক মাসে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মানব সভ্যতা। কাশী-সহ গোটা উত্তরপ্রদেশ প্রভূত সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ হল সেই রাজ্য যেখানে সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কোভিড টেস্টিং সেন্টার রয়েছে। এই রাজ্যেই সবচেয়ে টিকাকরণ হয়েছে।"
নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধনে বৃহস্পতিবার বারাণসীতে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এদিন তাঁকে অভ্যর্থনা জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল।
আরও পড়ুন স্বস্তি বাড়িয়ে মৃত্যু কমল দেশে, আক্রান্তের হারে চিন্তা বৃদ্ধি
মূলত, বারাণসীতে এদিন আন্তর্জাতিক সমন্বয় এবং কনভেনশন সেন্টার রুদ্রাক্ষের উদ্বোধন করবেন মোদী। এই কনভেনশন সেন্টারে অন্তত ১০৮টি রুদ্রাক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। এর ছাদ শিবলিঙ্গের আদলে তৈরি করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গোটা ভবনটি এলইডি আলোয় সেজে উঠবে রাতে।
বারাণসীর সিগরা এলাকায় তিন একর জমির উপর প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচে এই কনভেনশন সেন্টার তৈরি হয়েছে। রুদ্রাক্ষ সেন্টারে সবধরনের দেশীয় আন্তর্জাতিক মানের সম্মেলন আয়োজন করা যাবে। পর্যটন ক্ষেত্রে শহরের মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন রকম প্রদর্শনী করা হবে এই সেন্টারে। মেল হলের সঙ্গে একটি টাওয়ার, বৈঠকের জন্য ঘর, বিরাট পার্কিং লট থাকছে এই সেন্টারে। একসঙ্গে ১২০টি গাড়ি পার্ক করা যাবে।
আরও পড়ুন ‘পর্যটনস্থলে ভিড় চিন্তার বিষয়’, তৃতীয় ঢেউ রুখতে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে এই কনভেনশন সেন্টার বারাণসীর বুকে একটা আলাদা জায়গা করে নেবে। শহরের পর্যটনের জন্যও এই কনভেনশন সেন্টার ভীষণ উপযোগী হবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন