নারোদা পাটিয়া মামলায় বেকসুর খালাস হলেন অন্যতম অভিযুক্ত মায়া কোদনানি। শুক্রবার গুজরাত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপির এই প্রাক্তন মন্ত্রীকে রেহাই দিয়েছে। নারোদা পাটিয়া মামলায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন মায়া কোদনানি। নারোদা পাটিয়া গণহত্যার ঘটনায় তাঁর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেছিল নিম্ন আদালত। অবশেষে গণহত্যার মামলা থেকে রেহাই পেলেন বিজেপি-র ওই প্রাক্তন মন্ত্রী। এ মামলায় ৬১ জন অভিযুক্তের মধ্যে মায়া কোদনানিসহ ৩২ জনকে রেহাই দিয়েছে আদালত।
২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় কর সেবকদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই নারোদা পাটিয়া এলাকায় গণহত্যার ঘটনা ঘটানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় মায়া কোদনানি স্থানীয়দের উস্কানি দেন বলে অভিযোগ। ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মুসলিম অধ্যুষিত নারোদা পাটিয়া এলাকায় হামলা চালানো হয়। কমপক্ষে ৯৭ জন মুসলিমকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় মায়া কোদনানিকে ওই এলাকায় গাড়ি থেকে নামতে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন ১১ জন প্রত্যক্ষদর্শী।
দোষীদের তরফ থেকে দেওয়া ১১টি আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে আদালত। এ মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। নারোদা পাটিয়া মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন মায়া কোদনানির পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কৃপাল সিং চাবদাও। তবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বাবুভাই প্যাটেল ওরফে বাবু বজরঙ্গি ও সুরেশ লাঙ্গাডো ওরফে রিচার্ড ছরাকে। ওই দু’জনের শাস্তি বহাল রেখেছে আদালত।
এদিকে নারোদা পাটিয়া মামলায় নিম্ন আদালতে যেখানে মায়া কোদনানিকে ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে দোষী সাব্যস্ত ও সাজা ঘোষণা করেছিল, সেখানে হাইকোর্টে তাঁকে রেহাই দেওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নারোদা পাটিয়া মামলায় মায়া কোদনানিকে রেহাই দেওয়া নিয়ে ট্যুইট চালাচালিও শুরু হয়েছে