আমেরিকার লেক মিডে জলস্তরের হ্রাস ঘটছে। গত ২২ বছরে এই হ্রাসের মাত্রা কতটা, তা এবার প্রকাশ্যে আনল নাসার তোলা ছবি। এই হ্রাসের ফলে লেক মিডের জলস্তর ১৯৩৭ সালের এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত সর্বনিম্ন জলস্তরে পৌঁছেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ জলাধারগুলোর অন্যতম লেক মিড। যা অ্যারিজোনা এবং নেভাদায় বিস্তৃত। পাশাপাশি, ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা এবং নেভাদার জলের অন্যতম উৎস এই হ্রদ। এখানে জলস্তর কমায় শীতকালে জলের ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নাসার ক্যামেরা যে ছবিগুলো তুলেছে তা ২০০০ সালের ৬ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩ জুলাইয়ের মধ্যে তোলা। আগের ছবিগুলো তুলেছিল উপগ্রহ ল্যান্ডস্যাট ৭। ২০১৩ সালে উৎক্ষেপিত হয়েছিল ল্যান্ডস্যাট ৮। পরের ছবিগুলো এই নতুন উপগ্রহের তোলা। ছবিতে দেখা গিয়েছে, হ্রদের তীরের খনিজ অঞ্চনগুলো একটা সময় কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। ধীরে ধীরে সেই জল শুকিয়ে গিয়েছে। জল শুকিয়ে যাওয়ার দাগ হ্রদের গায়ের ফ্যাকাসে রঙই বুঝিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- গণমাধ্যমের ক্যাঙারু কোর্ট গণতন্ত্রকে পিছিয়ে দিচ্ছে, অভিযোগ প্রধান বিচারপতির
নাসার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যখন হ্রদের খাত জলপূর্ণ ছিল, তখন স্বাভাবিকভাবেই জলের স্তর হ্রদের দেওয়ালের উঁচু অংশ স্পর্শ করত। জলস্তর কমে যাওয়ার পরে সেই দেওয়ালের অংশগুলো খোলা বাতাসের সংস্পর্শে আসে। হ্রদের দেওয়ালের গায়ের বেলেপাথর, জলেতে থাকা ক্যালসিয়াম কার্বনেট এবং অন্যান্য খনিজ লবণের সঙ্গে বিক্রিয়া করে, সেখানে সাদা দাগ তৈরি করেছে। বৃষ্টি বা অন্য কারণে হ্রদে জল বেড়ে গেলে এই দাগটা দেখা যায় না। কিন্তু, যেই না জল স্বাভাবিক স্তরে চলে আসে, তখন স্পষ্ট হ্রদের গায়ের দাগটা ধরা পড়ে।
স্থানীয় বৃষ্টিপাত এবং ভূগর্ভস্থ জল লেক মিডে ১০ শতাংশ জলের জোগান দেয়। পাশাপাশি, রকি পর্বতমালার বরফগলা জল কলোরাডো নদী মারফত এই হ্রদে জমা হয়। শুধু লেক মিডে জল সরবরাহই না। কলোরাডো নদী সান দিয়েগো, লাস ভেগাস, ফিনিক্স, লস অ্যাঞ্জেলস-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ৫০ লক্ষ একর কৃষিজমিতে বৈদ্যুতিক শক্তি এবং জলের জোগানও দিয়ে থাকে।
Read full story in English