ভোটের মুখে রহস্যজনক আগাম ঘোষণা এবং পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে ‘মিশন শক্তি’ অপারেশনের সাফল্যের কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই ‘মিশন শক্তি’ই এবার ভোটের মুখে মোদীর অস্বস্তি বাড়াল। মহাকাশে ভারতের ‘মিশন শক্তি’ অপারেশনের মাধ্যমে স্যাটেলাইট ধ্বংস করা ‘বিপজ্জনক’ বলে বর্ণনা করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মহাকাশে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নিজেদের উপগ্রহ ধ্বংস করে ‘ভয়ঙ্কর কাণ্ড’ ঘটিয়েছে ভারত, এমনটাই মত নাসার প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইনের।
এ প্রসঙ্গে নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জানিয়েছেন, ভারতের ‘মিশন শক্তি’ অপারেশনের ফলে ৪০০টি উপগ্রহের টুকরো তৈরি হয়েছে মহাকাশে। এবং মহাকাশে উপগ্রহের এমন টুকরো খুবই ‘বিপজ্জনক’। এ বিষয়ে জিম আরও জানিয়েছেন, "৪০০টি উপগ্রহের টুকরো তৈরি হয়েছে। সবকটার হদিশ মেলেনি। এই মুহূর্তে ৬০টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে। এই টুকরোগুলি ১০ সেমি বা তারও বেশি আয়তনের। এই ৬০টি টুকরোর মধ্যে ২৪টি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের কক্ষপথে রয়েছে। গত সপ্তাহে স্পেস স্টেশনের ঝুঁকি বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।"
আরও পড়ুন, মিশন শক্তি এবং অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিশন নিয়ে বিতর্ক
মহাকাশে ভারতের ‘মিশন শক্তি’ অপারেশন প্রসঙ্গে নাসার প্রশাসক আরও বলেন, "একটা দেশ যখন এমনটা করল, তাদের দেখাদেখি অন্য দেশগুলোও এ ধরনের অপারেশন করতে চাইবে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।"
প্রসঙ্গত, গত বুধবার প্রথমে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন। এরপরই জাতির উদ্দেশে ভাষণে মহাকাশে ভারতের শক্তি পরীক্ষার কথা জানান তিনি। চিন, রাশিয়া, আমেরিকার পর ভারতই চতুর্থ দেশ, যাদের হাতে এই শক্তি রয়েছে বলে দাবি করেন মোদী।
ভোটের মুখে মহাকাশে ভারতের ‘মিশন শক্তি’ অপারেশন নিয়ে মোদীর এহেন ঘোষণায় সরব হন বিরোধীরা। মোদীর বিরুদ্ধে এ নিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগও তোলেন তাঁরা। যদিও পরে নির্বাচন কমিশনের তরফে এ নিয়ে মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। এদিকে, মহাকাশ বিষয়ক ব্যাপারে ডিআরডিও-র বদলে কেন প্রধানমন্ত্রী একথা ঘোষণা করলেন, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা।
Read the full story in English