প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোলা চিঠি লেখায় ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধে যে এফআইআর হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরব হলেন ১৮০ জনেরও বেশি সাংস্কৃতিক কর্মী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, সিনেমাটোগ্রাফার আনন্দ প্রধান, ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার এবং সমাজকর্মী হর্ষ মান্দার।
ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন, আদুর গোপালকৃষ্ণণ, লেখক রামচন্দ্র গুহ প্রমুখরা। তাঁদের সেই চিঠিকে দেশদ্রোহিতা বলে অভিযোগ করে গত সপ্তাহে বিহারের মজফফরপুরে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, গণপিটুনির কথা বলে দেশ ও হিন্দুদের অসম্মান করা হচ্ছে: মোহন ভাগবত
সোমবার ৭ অক্টোবর নতুন এক চিঠিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লেখা কীভাবে দেশদ্রোহিতা হতে পারে।
ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, "একে কি দেশদ্রোহিতা মূলক কাজ বলা যেতে পারে? নাকি আদালতকে অপব্যবহার করে নাগরিকের কণ্ঠস্বর রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে?"
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন, লেখক অশোক বাজপেয়ী এবং জেরি পিন্টো, শিক্ষাবিদ ইরা ভাস্কর, কবি জিৎ থায়িল, লেখক শামসুল ইসলাম, সঙ্গীতশিল্পী টিএম কৃষ্ণা, পরিচালক-সমাজকর্মী সাবা দেওয়ান। এঁরা জানিয়ে দিয়েছেন জনতার কণ্ঠস্বর রোধ করার চেষ্টা করার বিরুদ্ধে কথা বলা চলবে।
"আমরা ফের একবার এই চিঠি শেয়ার করছি। সাংস্কৃতিক জগত, শিক্ষাজগত এবং আইনজগতের সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ এই চিঠিটি ফের শেয়ার করুন। এ কারণেই আমরা প্রতিদিন কথা বলে চলছি। গণপিটুনির বিরুদ্ধে। মানুষের কণ্টশ্বর রোধের বিরুদ্ধে। আদালতের অপব্যবহার এবং নাগরিকদের হেনস্থা করার বিরুদ্ধে।"
আরও পড়ুন, ধর্ম আলাদা, তাই জয়পুরের হোটেলে ঘর পেলেন না প্রেমিক-প্রেমিকা
গত ৩ অক্টোবর অপর্ণা সেনদের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাতে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে দেশদ্রোহিতা ছাড়াও রয়েছে, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত এবং শান্তিভঙ্গের চেষ্টা।।
যে ৪৯ জন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পরিচালক মণি রত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, শ্যাম বেনেগাল, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী শুভা মুদগল। এঁদের বিরুদ্ধে দেশের ভারমূর্তি লুণ্ঠিত করা এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপকা কাজকে ছোট করে দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
Read the Full Story in English