সূত্রের মতে, জাতীয় সঙ্গীত সংক্রান্ত আইন গঠনের ভারপ্রাপ্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এবার তাঁরা সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত চালানোর আইন তুলে ফেলার জন্য কেন্দ্রকে আর্জি জানাবে। উল্লেখ্য, জাতীয় সঙ্গীত বাজানো অথবা গাওয়া কোন কোন অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলক করা উচিত এই মর্মে কেন্দ্র সরকার কিছুদিন আগেই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেন।
সূত্রের খবর, কমিটির সদস্যরা এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছেন যে সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত চালানো আসলে বিভ্রান্তিমূলক এবং তা অনেকসময় নির্দিষ্ট সিনেমাটি চালানোর ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটায় এবং দর্শকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। এতে জাতীয় সঙ্গীতের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই অবমননাকর হয়ে ওঠে।
মোট বারোজন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয় ২০১৭ সালের ৫ই ডিসেম্বর। গঠনকালে তাঁদের মোট ছয় মাস সময় দেওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত সংক্রান্ত আইনের খসড়া তৈরি করবার জন্য।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁরা যৌথ সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছেন যে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে রাষ্ট্রপতির ভাষণের আগে, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বা উপ-রাজ্যপাল আসার আগে, কোন প্যারেডে জাতীয় পতাকা বহন করবার সময় এবং স্কুলের সকালের সমাবেশে জাতীয় সঙ্গীত চালানো বাধ্যতামূলক হওয়া প্রয়োজন। তবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সঙ্গীত গাইবার সিদ্ধান্ত সেই স্থানে উপস্থিত নাগরিকদের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত বলেই তাঁদের ধারণা।
তাঁদের অভিমত, অফিসার মেসে জাতীয় সঙ্গীতের একটি সংক্ষিপ্ত ২০ সেকেন্ডের সংস্করণ চালান উচিত। কোনও ব্যান্ড জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করলে গান শুরুর আগে তালবাদ্য বাজানো ও বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত বলেই তাঁরা মনে করেন।
তবে আপাতত কমিটি এই বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলির অভিমত জানবার অপেক্ষায় আছেন। কারণ এই সিদ্ধান্ত প্রণয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলির অভিমত ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তারপরই তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে পক্ষ আর্জি জানাবেন এই আইন প্রণয়নের জন্য।
গৃহমন্ত্রকের বিশেষ সভাপতি ব্রিজ রাজ শর্মার তত্বাবধানে গড়ে ওঠা এই কমিটির আপাতত তিনটি বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে আরও একটি বৈঠক হবে বলে জানা গেছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা মূলত প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, নারী ও শিশু উন্নয়ন, এইচআরডি, সংস্কৃতি, সংসদীয় বিষয়, আইন, সংখ্যালঘু বিষয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা।