Advertisment

পিএনবির বার্ষিক সাধারণ সভায় এবার বাজবে জাতীয় সংগীত

চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সুনীল মেহতা জানান, এবার থেকে সব ইজিএম ও এজিএমে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pnb, পিএনবি

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বার্ষিক সাধারণ সভায় এবার থেকে বাজবে জাতীয় সংগীত। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বার্ষিক সাধারণ সভায় এবার থেকে বাজবে জাতীয় সংগীত। বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) পাশাপাশি বিশেষ সাধারণ সভাতেও (ইজিএম) বাজানো হবে ‘জনগণমন’। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে এমন সিদ্ধান্তের কথাই জানানো হল। উল্লেখ্য, ব্যাঙ্কের বিশেষ সাধারণ সভায় জাতীয় সংগীত বাজানোর প্রস্তাব দেন ব্যাঙ্কের এক শেয়ারহোল্ডার। শেষ ইজিএমে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে। সেই প্রস্তাবেই সিলমোহর দিয়েছেন পিএনবি-র নন-এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান সুনীল মেহতা।

Advertisment

চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বরের এক বৈঠকে মেহতা জানান, এবার থেকে সব ইজিএম ও এজিএমে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির দরকার পড়ে। শেষ পর্যন্ত শেয়ারহোল্ডারের ইচ্ছেকেই স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলেন বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও সেবি ও আরবিআইয়ের নিয়ম বলছে, কোনও ব্যাঙ্ক বা কোম্পানির এজিএম ও ইজিএমে জাতীয় সংগীত বাজানোর প্রয়োজনীয়তা নেই।

আরও পড়ুন, নতুন ২০ টাকার নোট আনছে আরবিআই

এ প্রসঙ্গে প্রাইম ডেটাবেসের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান পৃথ্বী হলদিয়া বলেন, "অনেক সংস্থাই তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের শুরু বা শেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে থাকে। কর্পোরেট সেক্টরে জাতীয় সংগীত বাজালে কেন কোনও সমস্যা থাকবে?" ইনগভর্ন রিসার্চ সার্ভিসেসের এমডি তথা প্রতিষ্ঠাতা শ্রীরাম সুব্রামানিয়ন বলেন, "আমার মনে হয় না এদেশে কোনও এজিএম ও ইজিএমে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। শেয়ারহোল্ডারদের উপর এভাবে জাতীয় সংগীত চাপিয়ে দেওয়াটা অদ্ভুত।" যদিও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

২০১৮ সালের ৩১ মার্চ আর্থিক বর্ষের অডিটেড ব্যালান্স শিট এবং লাভ ক্ষতির হিসেব নিতেই ১৮ সেপ্টেম্বর এজিএম ডাকে পিএনবি। এমপ্লয়িজ স্টক পারচেজ স্কিমের আওতাভুক্ত কর্মীদের কাছে ১০ কোটি ইক্যুইটি শেয়ার বরাদ্দ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। পাশাপাশি ২ হাজার ৮১৬ কোটি টাকার ইক্যুইটি বাড়াতে সরকারকে শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে পিএনবিতে ৫ হাজার ৪৩১ কোটি টাকার পুঁজির আরেকটি কিস্তিতে অনুমোদন করে সরকার।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে নীরব মোদীর ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনা সামনে আসার পর থেকে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে পিএনবিকে। ২০১৮ অর্থবর্ষে জানুয়ারি-মার্চে ক্ষতি হয়েছে ১৩ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা। এপ্রিল-জুন মাসে ক্ষতির অঙ্ক ৯৪০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, জুলাই-সেপ্টেম্বরে ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা।

Read the full story in English

PNB
Advertisment