Advertisment

বেকারত্ব বেড়েছে ৪.৭ কোটি, রিপোর্ট প্রকাশে বাধা কেন্দ্রের

পিএলএফএস রিপোর্ট অনুযায়ী বেকারত্বের শতকরা হার শহরাঞ্চল এবং গ্রামাঞ্চলে যথাক্রমে ৭.১% এবং ৫.৮ %। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন চাকরি হারানোকেই। তার সঙ্গে অবশ্যই রয়েছে কর্ম সংস্থানের স্বল্প সুযোগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
unemployment-759

১৯৯৩-৯৪ সাল থেকে দেশে এই প্রথম পুরুষ কর্মী সংখ্যার সংকোচন হচ্ছে। ২০১৭-১৮ সালের এনএসএসও নথি ( এখনও সরকারি ভাবে প্রকাশিত নয়) অনুযায়ী  ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে আসা তথ্য বলছে দেশে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা ২৮.৬ কোটি। এনএসএসও-র হিসেব বলছে ১৯৯৩-৯৪ সালে ২১.৯ কোটি থেকে শুরু করে ৩০.৪ কোটির কাছাকাছি পৌঁছেছিল সংখ্যাটা। অথচ, ২০১৭-১৮ সালের সমীক্ষায় দেখা গেল, অনেকটা কমেছে দেশের পুরুষ কর্মীর সংখ্যা। অর্থাৎ ২০১৭-১৮ র তুলনায় পাঁচ বছর আগেও পুরুষদের কর্ম সংস্থানের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল।

Advertisment

১৯৯৩-৯৪ এর পর এই প্রথম শহরাঞ্চল এবং গ্রামাঞ্চলে দুই জায়গাতেই কমেছে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা। পিএলএফএস রিপোর্ট অনুযায়ী বেকারত্বের শতকরা হার শহরাঞ্চল এবং গ্রামাঞ্চলে যথাক্রমে ৭.১% এবং ৫.৮ %।

এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন চাকরি হারানোকেই। তার সঙ্গে অবশ্যই রয়েছে কর্ম সংস্থানের স্বল্প সুযোগ।

পিএলএফএস এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া ২০১৭-১৮-র এনএসএসও রিপোর্ট সরকারি ভাবে প্রকাশিত হয়নি এখনও। কেন্দ্র রিপোর্ট প্রকাশে বাধা দেওয়ায় জাতীয় স্ট্যাটিস্টিকাল কমিশনের সভাপতি পিসি মোহন এবং কমিশনের সদস্য জে ভি মীনাক্ষী গত ডিসেম্বরেই পদত্যাগ করেছেন।

আরও পড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বরখা দত্তকে ‘হেনস্থা’, ধৃত ৪

এনএসএসওর হিসেব বলছে মাত্র পাঁচ বছরে শহরাঞ্চলে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা কমেছে ৪০ লক্ষ, গ্রামাঞ্চলে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার। গ্রামাঞ্চলের মহিলারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই অঞ্চলের মহিলাদের মধ্যে বেকারত্ব বেড়েছে ৬৮%। আর শহরাঞ্চলের পুরুষদের মধ্যে বেকারত্ব বেড়েছে ৯৬ %। ২০১১-১২ থেকে মহিলা এবং পুরুষ মিলিয়ে দেশে বেকার কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে ৪.৭ কোটি, যা সৌদি আরবের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি।

এনএসএসও-র রিপোর্ট শতকরা হারের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়, সেখানে সংখ্যার উল্লেখ থাকে না। পিএলএফএস অনুযায়ী স্পষ্ট, ২০১১-১২ তে বেকারত্বের পরিমাণ ছিল ২.২%। ২০১৭-১৮ তে এক লাফে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.১%।

২০১৭-১৮ র সমীক্ষার মতোই ২০১১-১২-র সমীক্ষাতেও ধরা পড়েছিল কর্ম সংস্থান হ্রাস পাচ্ছে। সেই সময় একদিকে গ্রামাঞ্চলের মহিলারা কাজ খোয়াচ্ছিলেন। পুরুষদের কর্ম সংস্থান বাড়ছিল। ২০০৪-০৫ থেকে ২০১১-১২ -এর মধ্যে ২ কোটি ২০ লক্ষ গ্রামীণ মহিলা কর্মী কাজ হারিয়েছিলেন। তার পরিবর্তে ১ কোটি ৩০ লক্ষ গ্রামীণ পুরুষ কর্মীর কর্ম সংস্থান হয়েছিল। অর্থাৎ সব মিলিয়ে গ্রামাঞ্চলের ৯০ লক্ষ বেকার বেড়েছিল।

Read the full story in English

Advertisment