প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে সংসদে ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন বিল, ২০২৩ পেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই বিল দেশে গবেষণা ইকো-সিস্টেমকে শক্তিশালী করবে। টুইট করে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কেন্দ্রীয় সরকার আসন্ন বাদল অধিবেশনে সংসদে এনআরএফ বিল পেশ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন বিলের অনুমোদন গবেষণা ও উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে। একই সময়ে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের (ডিএসটি) সহযোগিতায় ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) বিলের অনুমোদনের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এটি একটি প্রাণবন্ত সংস্কৃতি প্রচার করবে বলেও জানান তিনি। দেশে গবেষণা, উদ্ভাবন, শিল্প এবং স্টার্টআপের সম্ভাবনা বাড়াতে এই বিল বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দেশে গবেষণার প্রচারের জন্য ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (NRF) গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর জন্য ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন বিল ২০২৩ সংসদে পেশ করা হবে। বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এই তথ্য জানান। তিনি সাংবাদিকদের জানান যে ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রভাবের একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়’।
দেশের জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুসারে দেশের দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির গবেষণায় নতুন দিগন্ত প্রসারিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন বিল (এনআরএফ), ২০২৩ সংসদে পেশে অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদিত বিলটি এনআরএফ প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করবে, গবেষণা ও উন্নয়নের বিষয়ে এক নতুন দিগন্ত প্রসারের পাশাপাশি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও উন্নয়নমূলক পরীক্ষাগারগুলিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সংস্কৃতির বিষয়ে উৎসাহ যোগাবে।
এই বিলটি সংসদে অনুমোদনের পর এনআরএফ প্রতিষ্ঠিত হবে, জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) – এর সুপারিশ অনুসারে একটি নিয়ামক সংস্থা দেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণার উচ্চস্তরীয় কৌশলগত দিক নির্দেশ করবে। এর জন্য ৫ বছরে (২০২৩-২০২৮) আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা।
এনআরএফ এর প্রশাসনিক বিভাগ হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর, যা গবেষক ও বিভিন্ন বিষয়ের পেশাদারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি গভর্নিং বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। যেহুতু, এনআরএফ- এর পরিধি বিস্তৃত, সমস্ত মন্ত্রকে এর প্রভাব রয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রী পদাধিকার বলে এই বোর্ডের সভাপতি হবেন। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রী পদাধিকার বলে সহ-সভাপতি হবেন। এনআরএফ – এর কাজ ভারত সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি কার্যনির্বাহী পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হবে। এনআরএফ শিল্প সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলবে।
ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার অনুমোদন, গবেষণার প্রসারে ব্যয় হবে ৫০ হাজার কোটি টাকা:
দেশে একটি গবেষণা সংস্কৃতি বিকাশের জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট (NRF) স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংক্রান্ত বিলের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সংসদের আগামী অধিবেশনে এই বিল পেশ করা হবে। এই বিলটি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড অ্যাক্ট ২০০৮ কে প্রতিস্থাপন করবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন যে গবেষণার পরিবেশ তৈরি এবং এই প্রেক্ষাপটে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। NRF একটি গভর্নিং বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে। এতে ১৫ থেকে ২৫ জন বিশিষ্ট গবেষক ও পেশাদারদের সমন্বয়ে একটি গভর্নিং বডি থাকবে।
এই উদ্দেশ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকা পাঁচ বছরের জন্য বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকা ভারত সরকার দেবে, বাকি ৩৬ হাজার কোটি টাকা শিল্প, বেসরকারি সংস্থা, দাতব্য অনুদান ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হবে।
সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, এই ফাউন্ডেশন গবেষণা ও উন্নয়নের (R&D) পথ প্রশস্ত করবে এবং সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা ও উন্নয়ন পরীক্ষাগারগুলিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে উন্নীত করবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সংসদে জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন (NRF) বিল, ২০২৩-এর প্রবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে। সংসদে অনুমোদনের পর এই বিল দেশে গবেষণা ও উন্নয়নের প্রচার ও বিকাশ ঘটাবে। এটি ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং R&D পরীক্ষাগারগুলিতে গবেষণা এবং উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকেও উন্নীত করবে। কেন্দ্রীয় সরকার আসন্ন বাদল অধিবেশনে সংসদে এনআরএফ বিল পেশ করতে পারে। তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের যুক্তি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্প ক্ষেত্রের উপযোগী বিষয়ে গবেষণায় জোর দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী পরিচালন বোর্ডের প্রধান হবেন। তাঁর সঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জন বিশিষ্ট গবেষক, শিক্ষাবিদ, পেশাদার থাকবেন।