NITI Ayog: সাম্প্রতিক একাধিক অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের উন্নয়ন নিয়ে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি, কেন্দ্রে-রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার মানে উন্নত পরিষেবা এবং পরিকাঠামো। একুশের বঙ্গ বিধানসভা ভোটে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সেই সাফল্য প্রচার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু প্রচারের সঙ্গে পরিসংখ্যানগত ব্যাপক ফারাক ফুটে উঠলো নীতি আয়গের সাম্প্রতিক দারিদ্র্য সূচকে। সেই সূচকে উল্লেখ, দেশের প্রথম তিন গরিব রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর প্রদেশ। গরিবি সূচকে চতুর্থ স্থানে মধ্য প্রদেশ, পঞ্চমে মেঘালয়।
ঘটনাচক্রে গরিব রাজ্যের তকমা পাওয়া প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে চারটি রাজ্যে বিজেপি কিংবা তাঁদের জোট সরকার। আবার অবিজেপি রাজ্য হিসেবে পরিচিত তামিলনাড়ু, কেরল, পঞ্জাব এই তালিকার একদম নীচের দিকে। অর্থাৎ গরিবি সূচকের নিরিখে বিত্তবান এই তিন রাজ্য। তালিকার নীচের দিকে জায়গা পেয়েছে গোয়া এবং সিকিমও।
পাশাপাশি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে গরিবি সূচকে উপরের দিকে দাদরা নগর হাভেলি, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, দমন এবং দিউ। দেশের সবচেয়ে গরিব রাজ্য বিহার শুধু আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে নয়, পিছিয়ে অপুষ্টির কারণে শিশু মৃত্যুর সূচকে। বিহারের পরেই স্থান ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের।
জানা গিয়েছে, নীতি আয়োগ প্রকাশিত এই দারিদ্র্য সূচক বিশ্ব স্বীকৃত। অক্সফোর্ডের দারিদ্র্য এবং মানব উন্নয়ন উদ্যোগ এবং রাষ্ট্র সঙ্ঘের ঘোষিত উন্নয়ন কর্মসূচি মেনেই তৈরি। এদিকে, উত্তরপ্রদেশের জেওয়ারে বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার নয়ডা এয়ারপোর্টের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মোদী হলেন, এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে উত্তর ভারতের পরিবহণ দ্বার। এবং প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে হাজার হাজার মানুষের। স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কর্মসংস্থানের জন্য।
৫ হাজার একর এলাকা জুড়ে এই এয়ারপোর্ট তৈরি হচ্ছে। জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই এয়ারপোর্ট তৈরি করছে। বানাতে খরচ পড়বে প্রায় ২৯ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। সুইস এয়ারপোর্ট সংস্থা গত ২০১৯ সালের নভেম্বরে দরপত্র হেঁকে কাজের দায়িত্ব পায়। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটি তৈরি হবে। এটি নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে নয়ডা এয়ারপোর্টই হবে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমানবন্দর।
এদিন শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, “২০ বছর আগে তৎকালীন বিজেপি সরকার এখানে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু এতদিন লখনউ আর দিল্লিতে বসে সরকারের মধ্যে সংঘাতের কারণে এটা সম্ভব হয়নি। এমনকী এর আগের রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার জন্য চিঠি লিখেছিল। কিন্তু এবার আমরা ভূমিপুজোর সাক্ষী থাকলাম।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন