আগামীকাল পাটিয়ালা জেল থেকে মুক্তি পেতে পারেন কংগ্রেস নেতা নভজোৎ সিং সিধু। সিধুর নিজের অফিশিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই এই তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। যদিও পাঞ্জাব সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি । বর্তমানে রাজবন্দিদের মুক্তির জন্য দফায় দফায় বৈঠক চলছে। এদিকে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শেয়ার করা তথ্যের ভিত্তিতে সিধু এই তথ্য পোস্ট করেছেন বলেই জানা গিয়েছে। ৩৪ বছরের পুরনো একটি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় সিধুর এক বছর জেলের সাজা ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত। তিনি ২০ মে, ২০২২ থেকে পাটিয়ালা জেলে বন্দী রয়েছেন।
সাজা শেষ হওয়ার ৪৮ দিন আগে মুক্তি
নভজোৎ সিং সিধুকে গত বছরের ১৯ মে এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। রায় অনুসারে ১৮ মে পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হবে। কিন্তু কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী বন্দীদের প্রতি মাসে ৪ দিন ছুটি দেওয়া হয়। সাজা চলাকালীন সিধু একদিনও ছুটি নেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্চ শেষ হওয়ার ৪৮ দিন আগে তার সাজা পূর্ণ হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সিধুর জেল থেকে বেরিয়ে আসার খবরও সামনে এসেছিল। প্রত্যাশিত ছিল যে প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশেষ ছাড় দেওয়া ৫০ জন বন্দীর মধ্যে সিধুর নাম থাকতে পারে। কিন্তু তা হতে না পারায় শেষ মুহূর্তে বিশাল ব্যানার ও হোর্ডিং নিয়ে ফিরতে হয় সিধুর সমর্থকদের।
কংগ্রেস নেতা নভজোৎ সিং সিধু পাঞ্জাবের রাজনীতিতে এমনই একটি নাম যিনি সবসময় সংবাদ শিরোনামে থাকেন। বিজেপির হয়ে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করলেও সিধু কংগ্রেসেও শক্তিশালী ইনিংস খেলছেন। বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নভজোৎ সিং সিধু পাঞ্জাবের রাজনীতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। রাজনৈতিকভাবে সিধু নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
জেল থেকে তার মুক্তির নির্ধারিত তারিখ ছিল ১৬ই মে, তবে তার ভাল আচরণের কারণে সিধু সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া এক বছরের সাজা থেকে ৪৫ দিনের অব্যাহতি পাবেন। ১৯ মে, ২০২২-এ, সুপ্রিম কোর্ট সিধুকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়। ২০ মে, সিধু পাটিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সিধু এক বছরে প্যারোলও নেননি বা ছুটিও নেননি। প্রত্যাশিত আগামীকালই সম্ভবত মুক্তি পেতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা নভজোৎ সিং সিধু