স্বাধীনতা দিবসের দিন গোয়ার সাও জেসিন্টো দ্বীপে জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান বাতিল করল ভারতীয় নৌসেনা। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কাজকে দক্ষিণ গোয়ার এই দ্বীপের বাসিন্দারা পছন্দ করেন না। তাই বিরোধিতা না করলেও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি কোনও অনুষ্ঠানে তাঁরা যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দেন সান জেসিন্টোর মানুষরা। তবে, নিজেদের উদ্যোগেই ওই দিন দ্বীপে জাতীয় পতাকা উত্তলন করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন দ্বীপবাসীরা।
নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আজাদি কা অমৃত মহোৎসব কর্মসূচিতে ভারতের সব দ্বীপে ১৩-১৫ অগস্ট পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এই উপলক্ষেই দিন কয়েক আগে গোয়ার সাও জেসিন্তো দ্বীপে গিয়েছিল নৌবাহিনী। কিন্তু স্থানীয়রা এর বিরোধিতা করায় ওই দ্বীপে জাতীয় পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে দেশভক্তির অঙ্গ হিসাবেই এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিল।"
এই দ্বীপে বেড়ে ওঠা ড্যারেল ডিসুজার কথায়, সেখানে বর্তমানে প্রায় ২০০টি পরিবারের বসবাস। তাঁরাই সমবেত হয়ে প্রতিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু এবার হঠাৎ সরকারি আধিকারিকদের পতাকা উত্তোলনের খবরে ক্ষুব্ধ হন সাও জেসিন্টো দ্বীপের বাসিন্দারা। বন্দর কর্তৃত্ব বিল ও গোয়ার উপকূলবর্তী এলাকা ম্যানেজমেন্ট বিলের বিরুদ্ধে এই দ্বীপের মানুষরা।
নৌসেনা জানিয়েছে দ্বীপবাসীর বিরোধীতার কারণেই স্বাধীনতা দিবসে সেখানে পতাকা উত্তোজন সম্ভব হল না। এই অভিযোগ খারিজ করেছেন ড্যারেল ডিসুজা। তিনি বলেছেন, "আমরা নৌসেনার পতাকা উত্তোলনের বিরোধী নই, উল্টে বলেছি ওইদিন আপনারাও আমাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিন।" তাঁর কথায়, দ্বীপের বাসিন্দাদের আশঙ্কা নতুন বন্দর আইনের ফলে সাও জেসিন্টোয় নৌসেনার কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বাড়বে। দ্বীপের উন্নয়ন বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। ফলে ব্যাবহত হবে তাঁদের স্বতন্ত্রতা।
দ্বীপের রাজনৈতিক দল গোয়েনচো আভাজের প্রধান ক্যাপটেন ভিরিতো ফার্নানডেজ বলেছেন, "সাও জেসিন্টোর মানুষরা সরকারকে বিশ্বাস করে না। কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ও পোর্ট অথারিটি বিলের বিরোধী দ্বীপের মানুষ। কিন্তু সরকার এঁদের কোনও কথাই শুনতে রাজি নয়।"
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন