‘আঞ্চলিক সমস্যার আঞ্চলিক সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছি’। শনিবার এক ভাষণে একথাই বলেন, নৌবাহিনী প্রধান আর হরি কুমার। তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ভারত মহাসাগরে চিনের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সমুদ্রসীমায় আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা, সংরক্ষণ করতে বদ্ধপরিকর। রাইসিনা ডায়ালগের একটি অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে, অ্যাডমিরাল হরি কুমার ভারতের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, যখন আমরা ছোট গন্ডির মধ্যে কাজ করি তখন এটা একাধিক উদ্দেশ্য সাধিত করে এবং সামগ্রিক ফলাফল অর্জনে খুব সহায়ক হয়।
রাইসিনা ডায়ালগ অনুষ্ঠানের এক ভাষণে নৌবাহিনী প্রধান আর হরি কুমার শনিবার বলেন, সাম্প্রতিককালে দেশগুলির মধ্যে যে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তার মাধ্যমে পারস্পরিক বিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নৌবাহিনী প্রধান আর হরি কুমার বলেছেন যে ভারত এমন একটি দেশ যেটি এই অঞ্চলের সমস্ত দেশের সমৃদ্ধি দেখতে চায়। তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে চীন ২০০৮ সাল থেকে উপস্থিত রয়েছে। তখন থেকেই তাদের একটি অ্যান্টি-পাইরেসি ফোর্স ছিল। আমরা চিনের প্রতিটি কার্যকলাপের উপর নজর রাখছি।
ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানিয়েছেন, আঞ্চলিক সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সমাধান হওয়া দরকার। তিনি জানিয়েছেন, যখন আমরা ছোট গন্ডির মধ্যে কাজ করি তখন এটা একাধিক উদ্দেশ্য সাধিত করে। উদাহরণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে অংশীদারি দেশগুলির মধ্যে বিশ্বাস তৈরি হয়। পারস্পরিক বিশ্বাস অর্জনের পথ আরও বেশি মসৃন হয়। এর জেরে জলসীমায় সুরক্ষা আরও বৃদ্ধি পায়। তিনি আধুনিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি এবং জলসীমায় সহযোগিতা ও একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখনই কোন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়, তখন তা পাল্টাও হয়। আমরা ইউক্রেন যুদ্ধের সময় দেখেছি যে যখনই যুদ্ধে নতুন কোন প্রযুক্তি আসে, তখনই তার জবাব দেওয়া হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র, ড্রোন, আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে আমরা যখন ছোট দলে কাজ করি তখন এটি একটি উদ্দেশ্য পূরণ করে। এতে মিত্র দেশগুলোর মধ্যে আস্থাও বাড়ে।
ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানিয়েছেন, সহযোগিতার একটি প্রয়োজন রয়েছে জলপথে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে হয়, কীভাবে পারস্পরিক সহযোগিতা করতে হয় সেটা খোঁজা দরকার। নৌবাহিনী প্রধান আরও বলেন, ভারত মহাসাগরকে চিনের হাত থেকে নিরাপদ রাখতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেছেন যে যখনই কোনও প্রযুক্তি আসে, তখন তা পাল্টাও যায়। তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধের সময় দেখেছি যে যুদ্ধে যখনই নতুন প্রযুক্তি এসেছে, তারও জবাব দেওয়া হয়েছে। নৌবাহিনীর জন্য প্রযুক্তি বিকাশের জন্য আমরা ৭৫টি চ্যালেঞ্জ দিয়েছি। ১১০০ টিরও বেশি স্টার্টআপ এবং MSME পণ্যগুলির জন্য প্রযুক্তি বিকাশের জন্য প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
নৌবাহিনী প্রধান বলেন, '২০০৮ সাল থেকে ভারত মহাসাগরে চিনের উপস্থিতি রয়েছে। আমরা ভারত মহাসাগর অঞ্চলের চিনের কার্যকলাপের উপর নিবিড় নজর রাখি, আমরা সমুদ্রসীমায় আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা, সংরক্ষণ করতে বদ্ধপরিকর। মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডার অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুইলিনো, ব্রিটিশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল বেন কে এবং জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রধান জেনারেল কোজি ইয়ামাজাকি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।