Aryan Drug Case: এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের (Sameer Wankhede) বিরুদ্ধে ফের গর্জে উঠলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। এবার সমীরের বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগে সরব এই প্রবীণ এনসিপি নেতা। মঙ্গলবার একটি নথি প্রকাশ্যে এনেছেন মালিক। তাঁর দাবি, ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমীরের কয়েকজন সহকর্মী সেই নথি দিয়েছেন। যাতে ২৬টি মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ রয়েছে। যে মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযুক্তদের ফাঁসিয়ে দায়ের করা হয়েছে। আগেভাগে মাদক রেখে পরে বাজেয়াপ্ত দেখিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করিয়েছেন ওয়াংখেড়ে।‘
সম্প্রতি ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে এনসিবি (NCB)। এবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ফাঁসানোর অভিযোগের বিরুদ্ধেও তদন্ত দাবি করেন মালিক। আক্রমণ এখানেই শেষ নয়। মালিক বলেছেন, ‘মুম্বই এবং থানের দুই জন ব্যক্তি ওয়াংখেড়ের হয়ে কাজ করেন। তাঁরাই একাধিক ব্যক্তির ফোন ট্যাপ করে ওয়াংখেড়েকে সাহায্য করেন। এবং পুলিশের থেকে সেই ব্যক্তিদের পরিবারের তথ্য-প্রমাণ চেয়ে পাঠিয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে।‘
যদিও মন্ত্রীর এই অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এদিকে, তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রভাকর সায়েল। যে খবর প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এমনকী, সমীরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে সায়েলের পেশ করা রিপোর্টের ভিত্তিতে। অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার হয়তো শাহরুখ-পুত্রের ভাগ্যোদয় হতে চলেছে। মোড় ঘুরতে চলেছে মাদক মামলার! কিন্তু কোথায় কী, জামিনের শুনানির দিন বম্বে হাইকোর্টে গিয়ে সেই সাক্ষী প্রভাকর সায়েলকেই কিনা চিনতে অস্বীকার করলেন আরিয়ান খান। আদালতের কাছে সাফ জানিয়ে দিলেন যে, প্রভাকর সায়েলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
এককথায় প্রভাকর সায়েলকে নিয়ে আরিয়ানকাণ্ডে যে খবর চাউর হয়েছিল, সেটা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন শাহরুখ-পুত্র। কোর্টে ২ পাতার লিখিত দিয়ে আরিয়ান খান জানান, “এনসিবি মুম্বই জোনাল ডিরেক্টর, সমীর ওয়াংখেড়ে এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে বর্তমানে যএ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যা নিয়ে বেজায় চর্চা চলছে, তার সঙ্গে আমার কোনওরকম সম্পর্ক নেই। গোসাভীর কর্মী হিসেবে মিস্টার সায়েল গত ২৩ অক্টোবর যে এভিযোগ এনেছেন, তার প্রেক্ষিতে নয়, বরং নিজের যোগ্যতায় জামিনের আবেজন জানাচ্ছি।”
কে এই প্রভাকর সায়েল? নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে, যিনি কিনা ছদ্মবেশে প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ার থেকে গ্রেফতার করেছিলেন আরিয়ান খানকে, তাঁর বিরুদ্ধেই কোটি কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সায়েল। শুধু তাই নয়, এও জানিয়েছেন যে, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো তাঁকে দিয়ে দিয়ে ১০টি সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন