Advertisment

এবার সব পাঠ্যপুস্তকে 'ইন্ডিয়া'র বদলে 'ভারত'! NCERT-র তোলপাড় ফেলা সুপারিশ

দেশের নাম বিতর্কে নয়া মোড়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NCERT panel recommends replacing India with Bharat in school textbooks , এবার সব পাঠ্যপুস্তকে ইন্ডিয়ার বদলে ভারত হোক সুপারিশ এনসিইআরটি-র

বিতর্কে ঘি।

সব পাঠ্য বইতে 'ইন্ডিয়া'র বদলে নাম হোক 'ভারত'। এমনই সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটি। ২০২২ সালে এনসিইআরটি-র সামাজ বিজ্ঞান কমিটি এই সুপারিশ করেছিল। ফলে ফের চর্চায় দেশের নাম বিতর্ক।

Advertisment

ইতিমধ্যে, এনসিইআরটি তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য পাঠ্য পুস্তক, শেখার উপকরণ ও শিক্ষাদানের বিষয়টি চূডা়ন্ত করতে জাতীয় পাঠ্যক্রম ফ্রেমওয়ার্কের অধীন ১৯ সদস্যের এক কমিটি তৈরি করেছে। এই কমিটির কয়েকজন সদস্য হলেন ফিল্ড মেডেল বিজয়ী মঞ্জুল ভার্গব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য অর্থ উপদেষ্টা বিবেক দেবরায়, আরএসএস অনুমোদিত 'সংস্কৃতি ভারতী'র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য চামু কৃষ্ণ শাস্ত্রী, সমাজসেবী সুধা মূর্তি এবং গায়ক শঙ্কর মহাদেবা।

আরও পড়ুন- আরএসএস প্রধানের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য! ‘woke’ বলে কী বোঝালেন?

সম্প্রতি ভারতে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই উপলক্ষে সব রাজনৈতিক দলকে এক নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্রে ইংরাজি ভাষায়, 'প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া'র বদলে লেখা ছিল 'প্রেসিডেন্ট অব ভারত'। পরে সরকারি নথিতেও মোদীর নামের পাশে লেখা হয় 'প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত'।

বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক জোটের নাম দেওয়া হয় 'ইন্ডিয়া'। যা হল- ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। এই জোট গঠনের পর-পরই দেশের নাম বিতর্ক জোরদার হয়ে ওঠে।

এই ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় কংগ্রেস। প্রতিবাদ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পাল্টা গেরুয়া শিবিরের যুক্তি ছিল, 'ইন্ডিয়া' নামটি 'ঔপেনিবেশিক'। ফলে তার বদলে শুধু 'ভারত' হলে ভাল হবে। এই আবহে এবার সব পাঠ্য বইতে 'ইন্ডিয়া'র বদলে দেশের নাম 'ভারত' করার এনসিইআরটি-র সুপারিশ বেশ তাৎপর্যবহ।

replacing India with Bharat school education Modi Government NCERT
Advertisment