সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে, না সমীর ওয়াংখেড়ে? এনসিবি কর্তার পরিচয় বিতর্ক উসকে দিল NCP

Aryan Khan: সম্প্রতি এই মামলায় এক সাক্ষী ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন।

Aryan Khan: সম্প্রতি এই মামলায় এক সাক্ষী ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sameer Wankhede, Kranti Redkar, NCB, NCB officer, Bollywood, Arya Khan, সমীর ওয়াংখেড়ে, এনসিবি অফিসার সমার, আরিয়ান খান, bengali news today

দুঁদে NCB অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। ফাইল ছবি

Aryan Khan:  জন্ম শংসাপত্রে তাঁর নাম সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে। কিন্তু ইউপিএসসি ফর্মে তাঁর নাম সমীর ড্যানদেব ওয়াংখেড়ে। এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে এই নাম বিভ্রাটে বিতর্ক বেড়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। সম্প্রতি এনসিপি নেতা নবাব মালিক এনসিবির জোনাল কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের জন্মপঞ্জী প্রকাশ্যে আনেন। সেই নথি তিনি ট্যুইটও করেন। তাতে দেখা গিয়েছে, এনসিবি কর্তার নাম সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে। যদিও ইউপিএসসির ফর্ম পূরণে তিনি নিজের নাম লিখেছেন সমীর ড্যানদেব ওয়াংখেড়ে। আর এখানেই বিতর্কের সুত্রপাত।

Advertisment

মালিকের আক্রমণ এখানেই শেষ নয়। তাঁর প্রশ্ন, ‘প্রায় মলদ্বীপ, দুবাই যান ওয়াংখেড়ে, কী কারণ? সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এই কর্তাকে জোনাল কর্তা হিসেবে এখানে এনেছে কেন্দ্র। উদ্দেশ্য যেনতেন প্রকারে বলিউডকে বিপাকে ফেলা।  

যদিও নিজেকে বহুত্ববাদে বিশ্বাসী, এমন পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রেস বিবৃতি দিয়েছেন ওয়াংখেড়ে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাবা হিন্দু, মা মুসলিম। বাবা ড্যানদেব কাচুরজি ওয়াংখেড়ে রাজ্য আবগারি দফতরের সিনিয়র ইনস্পেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। আমার মা, প্রয়াত জাহিদা একজন মুসলিম মহিলা। আমি সেই পরিবারের সন্তান, যারা বহুত্ববাদ, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। আমি গর্বিত আমার ঐতিহ্যে।‘

পাশাপাশি তাঁর পারিবারিক বৃত্তান্ত প্রকাশ্যে আনায় সমালোচনায় সরব সমীর ওয়াংখেড়ে। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে কলুষিত করতে আমার পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে। অযথা পারিবারিক ব্যক্তি পরিসরে অনুপ্রবেশ করা হয়েছে।

Advertisment

এই বিতর্কের আবহে গ্রেফতারির শঙ্কায় বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ সমীর ওয়াংখেড়ে। দিন কয়েক আগেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর গতিবিধি নজরবন্দি করা হয়েছে। এবার আদালতে তাঁর দরবার, ‘অসৎ উদ্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এতে প্রভাবিত হবে বিচারাধীন একটি মামলা। আদালত অবিলম্বে সক্রিয় হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিক।‘ তবে, আরিয়ান খান ড্রাগ-কাণ্ডে এখানেই বিতর্কের শেষ নয়।

সম্প্রতি এই মামলায় এক সাক্ষী ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন।  ৮ কোটি টাকার বিনিময়ে প্রমোদতরী ড্রাগ মামলা নিষ্পত্তি করতে চেয়েছিলেন ওয়াংখেড়ে। সেই মর্মে তাঁকে সাদা কাগজে সই করে নেওয়া হয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ সেই সাক্ষীর।   

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Sameer Wankhede NCB Raid Aryan Khan arrested ncp