ভিডিও বিকৃতির অভিযোগে কমিশনের তোপের মুখে কৌতুক অভিনেতা কুণাল কামরা

বার্লিনে মোদীকে দেশাত্মবোধক গান শোনানো শিশুর ভিডিও বিকৃতি বিতর্কে কৌতুক অভিনেতা কুণাল কামরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পথে আরও এককদম এগোল ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সামনে বার্লিনে গান গাওয়া একটি ৭ বছরের শিশুর ভিডিও বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই শিশুর বাবা কুণালের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সম্প্রতি তিন দিনের ইউরোপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বার্লিনে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি সেখানেই তাঁকে ‘হে জন্মভূমি ভারত’গান শোনান এক শিশু।  এই ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়ার পর মূল গানের পরিবর্তে কুণাল ব্যবহার করেছেন ‘মেহেঙ্গায়ি ডায়ন খায়ে জাত হ্যায়’। এই গানটি ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পিপলি লাইভ’ ছবির।

বলাই বাহুল্য, মোদী সরকারের আমলে মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুটিকে তুলে কটাক্ষ করার উদ্দেশ্যেই এমনটা করেছেন ওই কমেডিয়ান। আর তাতেই বেজায় চটেছেন শিশুর অভিভাবক। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নজরে এসেছে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসেরও।

এনসিপিসিআরের তরফে অবিলম্বে ভিডিওটি সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এই ধরণের ঘটনা শিশু মনে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। কমিশন বলেছে, ভিডিওটি অবিলম্বে প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত এবং এই ধরনের সামগ্রী পোস্ট করার জন্য কামরার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শিশুটির বাবা গণেশ পল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি আমার ছেলেকে এসব থেকে দূরে রাখতে চাই। আমার ছেলে তো এসব ফেসবুক, টুইটার জানে না। ও নিজের মাতৃভূমির উদ্দেশে দেশাত্মবোধক গান গাইছিল। আর সেটা নিয়েই সস্তা রাজনীতি হচ্ছে।”সেই সঙ্গে কামরার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুশিয়ারিও দেন তিনি।

এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিপ্তে কামরা এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “তামাশা আপনার ছেলের উপর নয়, যখন আপনি আপনার ছেলের তার মাতৃভূমির জন্য গাওয়া গান উপভোগ করেন, সেখানে এমন কিছু গান রয়েছে যা আরও কঠোর বাস্তবতাকে তুলে ধরে’। কামরা অন্য একটি টুইটে বলেছেন, একটি মিম পোস্ট করার জন্য এনসিপিসিআরের তরফে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে’।