CAA: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এবার বিদ্রোহ এনডিএ অন্দরে। অবিলম্বে সিএ বা সংশোধিত নাগরকিত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে বিজেপি শরিক এনপিপি। সোমবার থেকে শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে এনডিএ শরিকরা বৈঠকে বসেছিল। সেই বৈঠকেই এই দাবি করেন এনপিপি নেত্রী অগাথা সাংমা। বৈঠক শেষে বেরিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এই নেত্রী বলেন, ‘মানুষের জন্যও প্রত্যাহার হয়েছে কৃষি আইন। একই ভাবে উত্তর পূর্বের মানুষের কথা ভেবে প্রত্যাহার করা হোক নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ (CAA)।‘
তিনি বলেন, ‘সরকারি তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও, উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই দাবি করেছেন।‘ এদিকে, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অনুষ্ঠান। তার আগেরদিন কেন্দ্রের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত খোদ প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির এই অনুপস্থিতি ঘিরে দলের অন্দরেই প্রশ্ন, ‘তাহলে নিজের তৈরি নিয়ম, নিজেই ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী।‘ এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, ‘মোদিজি এই প্রথা চালু করেছিলেন, সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এবার তিনি থাকতে পারলেন না।‘ যদিও বিরোধী শিবিরের দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংও সর্বদলীয় বৈঠকে থাকতেন।‘
এদিকে, এদিনের বৈঠকে এনডিএ শরিক-সহ বিরোধী দলগুলো কৃষকদের স্বার্থেই কথা বলেছে। অবিলম্বে কৃষকদের দাবি মেনে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের অত্যাবশ্যকীয় সহায়তা কেন্দ্রের চালু করা উচিত। এমন দাবি সর্বদল বৈঠকে উঠেছে। পাশাপাশি সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করতে কেন্দ্রকে আবেদন জানিয়েছে বিজেপি-বিরোধী দলগুলো। ৩১টি রাজনৈতিক দলের ৪২ জন নেতা এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। কেন্দ্রের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রহ্লাদ জোশি, অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং পীযূষ গয়াল।
রাজনাথ সিংয়ের আবেদন, ‘সংসদ অধিবেশন সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে কেন্দ্রকে সাহায্যের হাত বাড়াক বিরোধী দলগুলো। বিরোধীদের কাছে বিতর্কিত বিলগুলো নিয়ে আলোচনার স্বার্থে প্রয়োজনে সেই বিল সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠাতে রাজি সরকারপক্ষ।‘ তৃণমূলের তরফে আবেদন করা হয়েছে লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারিকরণ না করতে। বাম দলগুলো আবার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে।
কংগ্রেসের তরফে মল্লিকার্জুন খারগে কৃষি আন্দোলন, লখিমপুর-কাণ্ড, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন