মঙ্গলবার দুপুর থেকে যেভাবে উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল, সন্ধে নামতে বোঝা গেল ব্যাপারটা অত সহজ নয়। একেকজন শ্রমিককেই বের করে পাঁচ মিনিট করে লাগবে। ৪১ জনকে বের করতে লাগবে বেশ কয়েক ঘণ্টা। সব মিলিয়ে রাত কাবার হয়ে যেতে পারে। তার ওপর অন্ধকারে এই সুড়ঙ্গে খননকার্য আর উদ্ধারকাজ চালানো বেশ ঝুঁকির। যার ফলে, উদ্ধারকারী এনডিএমএ কর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সৈয়দ আতা হাসনাইন সাংবাদিকদের বলেন, 'এই অভিযান সম্পূর্ণ করতে পুরো রাত লাগতে পারে।'
আরও পড়ুন- চলছে শেষ পর্যায়ের উদ্ধারকাজ, দেশের নজর এখন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গের প্রবেশ পথে
এর আগে বিকাল ৪টায় সাংবাদিক বৈঠকে লেফটেন্যান্ট হাসনাইন বলেছিলেন যে ‘ব়্যাট হোল মাইনিং’ বিশেষজ্ঞ খনি শ্রমিকরা কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন, আর মাত্র দুই মিটার এগোলেই শ্রমিকদের নাগাল পাওয়া যাবে। উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলেই শ্রমিকদের প্রাথমিক চেকআপ করা হবে।
আরও পড়ুন- সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিক উদ্ধারে সাফল্যের পিছনে বিশেষ পদ্ধতি, কী এই ‘ব়্যাট হোল মাইনিং’?
তার পর নিয়ে যাওয়া হবে ৩০ কিলোমিটার দূরে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে। সেজন্য অ্যাম্বুলেন্সগুলো সুড়ঙ্গের মুখে প্রস্তুত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরাও তৈরি হয়ে আছেন। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের ওয়ার্ড, উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের জন্য রীতিমতো সাজিয়ে তৈরি করা আছে।
আরও পড়ুন- আর তর সইছে না, আজই যেন দীপাবলি! প্রিয়জনেদের অপেক্ষায় আটক শ্রমিকদের আত্মীয়রা
সোমবারই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন যে ড্রিল করা প্যাসেজে শ্রমিকদের বের করে আনার পাইপ বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। শীঘ্রই সমস্ত শ্রমিকদের বের করে আনা হবে। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তিনি ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন।
আরও পড়ুন- উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক বাংলার ৩, অপেক্ষায় পরিবার, কী পদক্ষেপ মমতার?
ধামি জানিয়েছিলেন, শ্রমিকদের উদ্ধার অভিযানে গতি বেড়েছে। একইসঙ্গে জানিয়েছিলেন, উদ্ধারের পর যা করার, সেই সব ব্যবস্থা করেছে তারা প্রশাসন। কিন্তু, সন্ধের পরও উদ্ধার সম্পূর্ণ না-হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি ফিরেই যান।
তবে, সুড়ঙ্গের ভিতরে অ্যাম্বুল্যান্স-সহ অন্যান্য ব্যবস্থাগুলো রাখা হয়েছে। সেগুলো সরানো হয়নি। সুড়ঙ্গের ভিতরে একটি অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে।
একবার শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হলে, এই চিকিৎসাকেন্দ্রেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। কোনও সমস্যা যাতে না-হয়, সেজন্য উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য দফতর ৮টি শয্যারও ব্যবস্থা করেছে। চিকিৎসায় তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ দল মোতায়েন করা হয়েছে।