নয়া কৃষি আইনকে একটা সুযোগ দিন, মোদীর এই আর্জির পরই সোমবার নয়া আইনের দাবি জানালেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের রাকেশ টিকায়েত। কৃষকদের পণ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করে নতুন আইন আনা হোক, এমন দাবিই করেছেন রাকেশ।
সোমবার রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী দেশের অন্নদাতাদের ফের আশ্বস্ত করে বলেন, 'ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। মান্ডিগুলির আধুনিকীকরণ করা হবে।' কৃষকদের উদ্দেশে এদিন মোদী বলেন, নতুন কৃষি আইনকে একটা সুযোগ দেওয়া হোক। এরপরই কৃষকদের বিক্ষোভ থেকে পিছু হঠার আর্জি করেন নমো। আলোচনার জন্য সরকার যে দরজা খুলে রেখেছে, সে বার্তাও দেন প্রধানমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে এদিন কৃষক নেতা রাকেশ বলেন, 'আমরা কখন বললাম যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য উঠে যাচ্ছে? আমরা বলেছি, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আইন তৈরি হোক। এমন একটা আইন আনা হোক, যাতে দেশের সমস্ত কৃষক উপকৃত হবেন। বর্তমানে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কোনও আইন নেই। কৃষকদের লুঠ করেছেন দালালরা।'
ইতিমধ্যে ১১ বার মোদী সরকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছেন কৃষক নেতারা। তিন কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে, এ দাবিতে এখনও অনড় তাঁরা। তাঁদের ওই দাবির পরিবর্তে ১২-১৮ মাসের জন্য নয়া আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল সরকার। কিন্তু, তা মানতে নারাজ দেশের। 'চাক্কা জ্যাম' কর্মসূচির শেষে কেন্দ্রের উদ্দেশে কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, '২ অক্টোবর পর্যন্ত সময়। তার মধ্যে আইন প্রত্যাহার না করা হলে কৃষকরা অন্য রাস্তা বেছে নেবেন। ঘোষণা করা হবে পরবর্তী কর্মসূচি।'
উল্লেখ্য, ১৮ মাসের জন্য 'বিতর্কিত' কৃষি আইন স্থগিত রাখার সরকারি প্রস্তাব এখনও আলোচনার টেবিলে রয়েছে বলে ক'দিন আগেই কৃষকদের কোর্টে বল ঠেলেছিলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আলোচনার মাধ্যমে কৃষক সমস্যা মিটমাট করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন