নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ভারতের মত দেশে গণতন্ত্রকে সত্যিকরের অর্থে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য শাসন পরিকাঠামোকে ছোট ছোট ইউনিটে পরিচালিত করা। বিচারপতি সুনন্দা ভান্ডারি স্মারক ২৭তম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলেন। তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিল- ‘তৃণমূলস্তরে গণতন্ত্র: কী কাজ করে, কী করে না এবং কেন?’
তিনি এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, “আমাদের গণতন্ত্রের নকশায় একটি মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা হল আমাদের রাজ্যগুলি অনেক বড়। যুক্তরাজ্যের চেয়ে আমাদের পার্লামেন্টে ২০ গুণ বেশি আসন রয়েছে”। তিনি আরও বলেন, যদিও ভারতে যুক্তরাজ্যের থেকে ভারতের জনসংখ্যা ২০ গুণ। তবে যুক্তরাজ্যের সংসদে ভারতের তুলনায় আসন সংখ্যা বেশি। ভারতের ৫৪৩টি আসনের তুলনায় যুক্তরাজ্যের আসন সংখ্যা ৬৫৬।
তাঁর যুক্তি গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর সুবিশাল আকার শাসন পরিচালনার সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে ছোট ছোট ইউনিটে ভেঙে ফেলে সুষ্ঠ শাসন ব্যবস্থা পরিচালন করা সম্ভব। আসন্ন দিল্লি পুর ভোট প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভোটারদের কাছে যদি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাজের খতিয়ান পেশ করা যায় তাহলে নির্বাচনের অঙ্ক অনেক সময় বদল হতে পারে।
আরও পড়ুন: < পদ্মে পা বাড়াচ্ছেন তৃণমূলের এই দাপুটে বিধায়ক? পোস্টার ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে >
আমাদের গণতন্ত্রের একটি কাঠামোগত সমস্যা,দেশের সুষ্ঠ শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু সময় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ উল্লেখ করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি। স্মৃতিচারণায় বিচারপতি কোহলি বলেন, ‘খুব কম লোকই জানেন যে বিচারপতি ভাণ্ডারি বিয়ের পর আইন কলেজে পড়তে এসেছিলেন। যখন তিনি দুই সন্তানের মা, সেই সময় তাঁর নাম মহারাষ্ট্র বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছিল।’ বিচারপতি ভাণ্ডারি দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন। কর্মরত অবস্থায় ৫২ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন"।