করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করাটাই সবচেয়ে 'চ্য়ালেঞ্জিং' ও 'ঝুঁকিপূর্ণ', এমনটাই জানালেন এক চিকিৎসক। সংবাদসংস্থা পিটিআিই-কে চিকিৎসক পুস্কর দাহিওয়াল জানিয়েছেন, করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের সোয়্য়াব নমুনা সংগ্রহ করার কাজটাই সবথেকে ঝুঁকিপূর্ণ। যদিও এ কাজটা ৩০-৪০ সেকেন্ডের মধ্য়ে করতে হয়। ঔরঙ্গাবাদের হাসপাতালে দিনে ৮০-১০০ সোয়্য়াব নমুনা সংগ্রহ করেন ওই চিকিৎসক।
ওই চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, ''আমরা তিনদিন কাজ করছি। তারপর ১৪ দিন সেল্ফ কোয়ারেন্টিনে থাকছি''। তাঁর কথায়, দিনে ৬ ঘণ্টার ডিউটিতে ডাক্তারদের পিপিই পরতে হয়। জল খাওয়ারও সময় পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, ''যাতে রোগীদের সঙ্গে সংস্পর্শে বেশি না আসতে পারি, সেজন্য় খুব অল্প সময়ে আমাদের কাজ শেষ করতে হয়''।
আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টিনে লালুর চিকিৎসক, উদ্বিগ্ন পুত্র তেজস্বী
চিকিৎসক পুস্কর দাহিওয়াল বলেছেন, ''রোগীর কাশি বা হাঁচির আগেই আমাদের নমুনা সংগ্রহের কাজ শেষ করতে হয়''। তিনি বলেন, ''অনেকেই মনে করেন যে নমুনা পরীক্ষা খুবই বিপজ্জনক। কিন্তু আমরা তাঁদের গোটা প্রক্রিয়াটা জানাই...নার্স ও অন্য়ান্য় কর্মীদেরও সাবধানে থাকতে হয়, কারণ তৎক্ষণাৎ সোয়্য়াব নমুনা সিল করতে হয়। সবটাই খুব অল্প সময়ের ব্য়বধানে করতে হয়''।
মুম্বইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে ২০০৮ সালে ২৬/১১ হামলায় জখমদের চিকিৎসা করার কথার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ''হামলার ২০ মিনিট আগে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস থেকে ফিরেছিলাম। সে সময় আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, যে কোনও দিক থেকে হামলাকারীরা হামলা চালাতে পারে। করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করার সময় ওই ঘটনার কথা মনে পড়ে''।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন