কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে ভুল এবং মিথ্যে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে সোশাল মিডিয়া মারফত। তাই সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাশ টানতে হবে, বুধবার বললেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
'রাইসিনা ডায়ালগ ২০১৯'-এর মঞ্চে বিপিন রাওয়াত বলেন সোশাল মিডিয়ার যথেচ্ছ ব্যবহারে যুবকদের মনে ধারণা জন্মাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদীরা যা করছে, তার পেছনে নিশ্চয়ই যুক্তিসম্মত কারণ রয়েছে। "গণমাধ্যম এবং সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্ম সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়িয়ে উগ্রপন্থায় ইন্ধন জোগানো নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। নানা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন যে অর্থ সংগ্রহ করে, তার অনেকটাই কিন্তু এর পেছনে খরচ করে", বললেন সেনা প্রধান।
তিনি আরও বললেন, "কোনও দেশের সোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে নাগরিকের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। জম্মু কাশ্মীরে ধর্ম নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশাল মিডিয়া মারফত। সেই কারণেই এত বেশি সংখ্যক শিক্ষিত তরুণ সন্ত্রাসবাদের রাস্তা বেছে নিচ্ছে"।
আরও পড়ুন, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে খাটো ভাবলে ভুল হবে: রাহুল গান্ধী
সোশাল মিডিয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেওয়া অবশ্য নতুন নয় সেনা প্রধানের কাছে। এর আগে ভারতীয় সেনায় খাবারের গুণগত মান নিয়ে বিএসএফ জওয়ানের পোস্ট করা ভিডিও সারা দেশ তোলপাড় করতেই একই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন রাওয়াত। বলেছিলেন, সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের অভিযোগ জানালে জওয়ানদের শাস্তি দেওয়া হতে পারে"।
বুধবারের মঞ্চে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিপিন রাওয়াত বলেন, "রাষ্ট্রই যখন সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তখন তা আরও ফুলে ফেঁপে ওঠে। পাকিস্তান যেমন তালিবানদের পুষেছে, ওদের রাষ্ট্রনীতির অংশ হিসেবেই সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়"।
Read the full story in English