সংসদ ভবনে নিরাপত্তা সঙ্ঘনের ঘটনায় যে চার জনকে পাকড়াও করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম নীলম। উচ্চশিক্ষিত ৪২ বছরের এই মহিলা। স্বপ্ন সিভিল সার্ভেন্ট হওয়ার। সিভিল সার্ভিসের এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। চার মধ্যেই কী করে এই ধরণের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন? ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা বিভাগ। আর হরিয়ানার জিন্দে বসে মেয়ের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছেন মা।
পুলিশ যখন নীলমকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে সংসদ ভবনের বাইরে থেকে তখনও প্রতিষ্ঠান বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন তিনি। বলছিলেন বেকারত্বের কথা। নীলমের মায়ের কথায়, 'আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। নীলম বেকারত্ব নিয়ে চিন্তিত ছিল। কিন্তু, ও দিল্লির বিষয়ে কখনও কিছু বলেনি। মেয়ে আমার কাছে আক্ষেপ করত এত উচ্চশিক্ষিত হয়েও কোনও চাকরি নেই বলে। বলত ওর মরে যাওয়াই ভাল।'
স্নাতক, স্নাতকোত্তর, বিএড, এমএড, সিটিইটি, এমফিল ও নেট সফল নীলম। ওর ভাই বলছিলেন, 'আমরা জানতামও না যে ও দিল্লি গেছে। আমরা জানতাম, ও পড়াশোনার জন্য হিসারে রয়েছে। গত পরশুই আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। একাধিকবার বেকারত্বের ইস্যু তুলেছে। এমনকী ও কৃষক আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিল।'
সংসদে ভবনের মধ্যে যে দু'জন হানাদার প্রবেশ করেছিল তাদের পরিচয় পুলিশ জানতে পেরেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন হলেন সাগর শর্মা। অন্যজন বছর পঁয়তিরিশের ডি মনোরঞ্জন। সংসদের বাইরে থেকে যাঁদের আটক করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম নীলম। অপরজন বছর অমল শিণ্ডে (২৫)।
আরও পড়ুন- কৃষক পরিবারের সন্তান-ইঞ্জিনিয়ার-বিবেকানন্দের আদর্শে উদবুদ্ধ! সংসদ ভবনে হানাদারেরা কারা?
অভিযুক্ত সাগর ও মনোরঞ্জন মহীশুরের বাসিন্দা, এখনও অবিবাহিত। সে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং অতীতে বেঙ্গালুরুতে একটি আইটি ফার্মে কাজ করেছেন। তবে বর্তমানে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজেই যুক্ত ছিল। তার বাবার দেবরাজের কথায়, 'মনোরঞ্জন প্রচুর বই পড়ে, বিশেষ করে স্বামী বিবেকানন্দের। তার রাজনৈতিক ঝোঁক সম্পর্কে আমি অবগত নই। ও একজন ছাত্র নেতা ছিল এবং আজও তিনি সমাজে সংস্কার আনতে চায়।'
আরও পড়ুন- একই যাত্রায় পৃথক ফল! মহুয়া বহিষ্কৃত, বিজেপির প্রতাপকে কেন নয়, প্রশ্ন তৃণমূলের