প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে একটি স্বশাসিত National Testing Agency (NTA)-র গঠন অনুমোদন করা হয়েছে। এই এজেন্সির কাজ হবে মূলত উচ্চ পর্যায়ের পরীক্ষা পরিচালনা করা, যা বর্তমানে করে থাকে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE)। আজ এই মর্মে বিবৃতি দিলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
আগামী বছর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে NTA-র কার্যকলাপ, এবং জাতীয় স্তরের পরীক্ষা যেমন JEE Main, NEET, UGC NET ইত্যাদি, NTA-র পরিচালনাতেই অনুষ্ঠিত হবে। এগুলির মধ্যেও আবার JEE এবং NEET পরীক্ষা নেওয়া হবে বছরে দু'বার, যাতে পরীক্ষার্থীদের মান্যতা পাওয়ার জন্য গোটা বছর অপেক্ষা করতে না হয়। উল্লেখ্য, সব পরীক্ষাই অনলাইন নেওয়া হবে।
গত বছর, অর্থাৎ ২০১৭ সালের বাজেটে এই ধরনের একটি কেন্দ্রীয় পরীক্ষা পরিচালনা করার এজেন্সি গঠনের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলছেন, "NTA গঠনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল সারা দেশ জুড়ে একটিই পরীক্ষা নেওয়ার।" ইতিমধ্যেই NTA-র প্রথম বছরের খরচ চালানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।
NTA গঠন করার আরও একটি উদ্দেশ্য হলো CBSE-র কে পরীক্ষা পরিচালনার দায় থেকে মুক্ত করা, যাতে দেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের ওপর মনোনিবেশ করা যায়। বর্তমানে CBSE মোট ন'টি পরীক্ষা পরিচালনা করে, যাদের মধ্যে রয়েছে JEE Main, UGC NET, এবং NEET। NTA পরীক্ষা পরিচালনা করলে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মধ্যে গুণগত ফারাকের যে অভিযোগ প্রায়শই ওঠে, তারও মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় সরকার। এজেন্সির চেয়ার পার্সনের দায়ভার গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ মন্ত্রক একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদকে মনোনয়ন করবেন, এবং বোর্ড অফ গভর্নরসে থাকবেন NTA-র অন্তর্গত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
NTA যত স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, তত বেশী পরীক্ষার দায় নিতে পারবে বলে আশা রাখছেন কেন্দ্রীয় সরকার। এবং এই মুহূর্তে গ্রামাঞ্চলের এবং মফস্বলের ছাত্রছাত্রীদের সুবিধের জন্য বেশ কিছু জেলাস্তরের পরীক্ষাকেন্দ্রের কথাও ভাবা হচ্ছে।