৭২০-তে ৭২০! ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে এবার নিট প্রবেশিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে দুই পড়ুয়া। ন্যাশলান টেস্টিং এজেন্সির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওড়িশার শোয়েব আফতাব এবং দিল্লির আকাঙ্খা সিং ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে গোটা দেশের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে টাইব্রেকার পদ্ধতিতে প্রথম স্থান দখল করেছেন শোয়েব। বয়স, বিষয়ভিত্তিক নম্বরের ভিত্তিতে আকাঙ্খাকে হারিয়ে শীর্ষ স্থানাধিকারীর সম্মান পেয়েছেন শোয়েব। রাউরকেলার নির্মাণ ব্যবসায়ীর সন্তান শোয়েবের এমন অভূতপূর্ব সাফল্যে বাহবা দিচ্ছে গোটা দেশ। খুশিতে ডগমগ গোটা পরিবার। কিন্তু কীভাবে এল এমন অবিশ্বাস্য নম্বর, এর রহস্য কী, খোলসা করেছে শোয়েব নিজেই।
ছোটবেলা থেকেই দুচোখ জুড়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। পরিবারে কেউই চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নন। তবুও ডাক্তার হওয়াই ছিল শোয়েবের ধ্যানজ্ঞান। বলেছে, "আমি জানতাম, মন দিয়ে পড়াশোনা করলে ডাক্তার হবই। আমি কার্ডিওলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই।" ১৮ বছরের তরুণ দিনে ১৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করত। স্কুল-কোচিংয়ের পড়া ছাড়াও দিনে ৪ ঘণ্টা বাড়িতে বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকত শোয়েব। তবে ইউটিউবে ভিডিও দেখা বা গেম খেলাও ছিল দৈনন্দিন তালিকায়। ব্যালেন্স করার জন্যই এমনটা করত শোয়েব। "পড়াশোনার সময় শুধু পড়াতেই মনোযোগ থাকত আমার, অন্য কিছুতে নয়, জানিয়েছেন শোয়েব।" দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষায় ৯৬ শতাংশ নম্বর পাওয়া শোয়েবকে নিয়ে পরিজন, স্কুলের শিক্ষকদের গর্বের শেষ নেই।
আরও পড়ুন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেশে! বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে পাকিস্তান-বাংলাদেশেরও পরে ভারত
স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে রাজস্থানের কোটায় দুবছরের জন্য কোচিং নিতে যায় শোয়েব। সঙ্গে মা এবং ১০ বছরের বোনও যায় কোটায়। শোয়েবের ইচ্ছা, দিল্লির এইমস থেকে এমবিবিএস পড়বে। কঠোর অধ্যাবসায় এবং পরিশ্রমের ফল হল গোটা দেশে শীর্ষ স্থান দখল করা। মোট ৭,৭১,৫০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে টপার হওয়া মুখের কথা নয়। কিন্তু শোয়েব মজে এখন বড় ডাক্তার হওয়ার লক্ষ্যে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন