Centre cancels UGC-NET: এবার নেট কেলেঙ্কারির বিরাট অভিযোগ। যার জেরে মঙ্গলবার পরীক্ষা নেওয়ার একদিন পরেই, বুধবার ইউজিসি-নেট বাতিল করল ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি’ (এনটিএ)। শুধু বাতিলই নয়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, পরীক্ষায় বিরাট অনিয়ম বা কেলেঙ্কারি ঘটেছে। যার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক।
প্রতিবছরই বছরে দু'বার জুন এবং ডিসেম্বরে ইউজিসি নেট পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এই পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বে থাকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা। নেট বা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট হল গবেষণার প্রবেশদ্বার। ‘জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ’ বা জেআরএফ দেওয়ার জন্য এই নেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর’ নিয়োগের জন্যও এই নেট পরীক্ষাকেই যোগ্যতা নির্ণায়ক হিসেবে ধরা হয়।
এবছর নেট হওয়ার কথা ছিল, ১৬ জুন বা রবিবার। তবে, মে মাসের শেষে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, বিশেষ কারণে পরীক্ষা হবে দু'দিন দেরিতে। অর্থাৎ, ১৮ জুন, মঙ্গলবার। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার দুই অর্ধে ‘ওএমআর’ শিটের মাধ্যমে নেট পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী।
কিন্তু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্ত ‘ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার’ (১৪সি)-এর জাতীয় সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিট থেকে কিছু তথ্য মেলে। যাতে, নেট পরীক্ষায় ‘প্রশ্ন ফাঁস’ সংক্রান্ত অনিয়ম প্রশাসনের নজরে আসে। এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে বার্তা যায় জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার কাছে। আর, জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা সেই বার্তার ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে বার্তা পাঠায়। যার ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত সবদিক খতিয়ে দেখে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর, তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ফুটপাতে ঘুমানোই কাল! সাংসদ-কন্যার গাড়ির চাকায় পিষ্ট যুবক, জামিন পেতেই তুলকালাম
শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নেট পরীক্ষা আবার নতুন করে নেওয়া হবে। কিন্ত, সেই পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে মন্ত্রক এখনও কিছুই জানায়নি। শুধু এটুকু জানিয়েছে যে, পরবর্তী সময়ে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে নেট কেলেঙ্কারি রুখতে ব্যর্থতার জন্য এনটিএর সদস্যদের বরখাস্ত করার দাবি তুলেছেন নাগরিকদের একাংশ। এর আগে ডাক্তারিতে ভর্তির সর্বভারতীয় পরীক্ষা নিট-এ কেলেঙ্কারি ধরা পড়ে। যার ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে আদালতকে।