বৃদ্ধ বাবা-মাকে মারধর, সম্পত্তি হাতিয়ে তাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে ঠেলে দেওয়ার ঘটনা এখন আখছার উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে বা সোশ্যাল মিডিয়ায়। ১৩২ কোটির দেশে বৃদ্ধ বাবা-মাকে অবহেলার ছবিটা চোখে পড়ে হামেশাই। আইন থাকলেও তা ঠিক কতটা মেনে চলা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে যথেষ্ট। তবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনাভিসের নেতৃত্বে এবার প্রবীন নাগরিকদের পাশে দাঁড়াতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিলেন সে রাজ্যের সরকার।
বুধবার একটি সরকারি নির্দেশনামা প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, যেসব প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান ৬০ বছর বা তার বেশি বয়স্ক বাবা-মার সঠিক দেখভাল করবেন না বা অবহেলা করবেন, তাদেঁর নামের একটি তালিকা বানানো হবে এবং জনসমক্ষে সেই তালিকা প্রকাশ করে চরম হেনস্থা করা হবে তাঁদের। এক্ষেত্রে রাজ্যের বেশ কিছু দফতরকে প্রবীন নাগরিকদের জন্য তহবিলের কিছু অর্থ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনে ব্যয় করা হবে। বলা বাহুল্য, এতে তাঁরা সসন্মান জীবনযাপনের সুযোগ পাবেন।
প্রস্তাব অনুযায়ী, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তাঁদেরই নাম নথিভুক্ত করা হবে যাঁদের বাবা এবং মা ইতিমধ্যেই সিনিয়র সিটিজেনের আওতায় পড়েন। এই নথিভুক্ত করার কাজে সমাজকর্মীরা যৌথভাবে কাজ করবেন স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে। এরপর চিহ্নিত করা প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতে যাবেন তাঁরা, এবং নজর রাখবেন বয়স্ক বাবা-মাকে ঠিকমতো দেখাশোনা করা হচ্ছে কিনা।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি হেল্পলাইনও চালু করা হবে প্রবীন নাগরিকদের জন্য। যেকোন অসুবিধাতেই বা জরুরি অবস্থায় এই নম্বরে ফোন করতে পারবেন তাঁরা। যেহেতু বয়সের ভারে শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি শারীরিক যেকোন জরুরি অবস্থাতে প্রবীন নাগরিকদের সাহায্য করাই এই হেল্পলাইন তৈরীর মূল উদ্দেশ্য। প্রসঙ্গত, ২০১৩ থেকে এই আইন অনুমোদিত হলেও, এ বিষয়ে কোনও সুরাহাই হয়নি এখন পর্যন্ত।