সীমান্তে বিতর্কের আবহেই সোমবার আলোচনার টেবিলে বসল ভারত ও নেপাল। করোনা পরিস্থিতিতে এদিন দু'দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা ভার্চুয়াল বৈঠক সারছেন। নেপালে ভারতীয় সহায়তায় উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পর্যালোচনা করতেই এই বৈঠক বলে জানা যাচ্ছে। এদিনের বৈঠকে নেপালের তরফে রয়েছেন বিদেশ সচিব শঙ্কর দাস বৈরাগী। এ দেশের তরফে রয়েছেন নেপালে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কাওয়ার্তা।
উল্লেখ্য়, সম্প্রতি ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলা। কালাপানি সীমান্ত বিবাদের পর এই প্রথম দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্য়ে ফোনালাপ হয়। ১১ মিনিট ধরে ফোনে দুই প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন। মোদীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান ওলি। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য় হিসেবে ভারত নির্বাচিত হওয়ায় মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে দুই দেশই সহমর্মিতা দেখিয়েছে। পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে নেপালকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: হুমকির মুখে ভারতে ফেসবুকের শীর্ষ পদাধিকারী, পুলিশে অভিযোগ
প্রসঙ্গত, নেপালের নয়া রাজনৈতিক মানচিত্র ঘিরে কাঠমাণ্ডু ও নয়া দিল্লির সম্পর্কে চিড় ধরেছে। লিপুলেখ, কালাপানি, লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে নেপাল, যার তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে ভারত। গত জুন মাসে নয়া মানচিত্র অনুমোদন করে নেপাল সংসদ। নেপালের এহেন পদক্ষেপের বিরোধিতা জানিয়ে নয়া দিল্লি জানায়, 'এটা অসমর্থনযোগ্য়'।
মানচিত্র বিতর্কের আবহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। ওলি দাবি করেছিলেন, নেপালের মানচিত্র ইস্য়ুতে নয়াদিল্লি ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছে। এদিকে, অযোধ্য়ায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর আগে ওলি দাবি করেন, ''আসল অযোধ্য ভারতে নয়, নেপালে। রাম আসলে ভারতীয়ই নন। উনি নেপালি''। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য় ঘিরেও শোরগোল পড়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটে দু'দেশের বৈঠক অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন