মঙ্গলবার ফেরার কথা ছিল! ঘরের ছেলে আর ফিরবে না, নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে জেলার চার বন্ধুর। অভিষেক, বিশাল, অনিল ও সোনু । নিহত পাঁচ ভারতীয়র মধ্যে মধ্যে চারজনই উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার বাসিন্দা। সকলেরই ফেরার কথা ছিল বন্ধুর মঙ্গলবার ছিল। আত্মীয়রা জানিয়েছেন চার বন্ধু মিলে নেপাল ঘুরতে গিয়েছিল, মঙ্গলবারই দেশে ফিরে আসার কথা ছিল তাঁদের।
ঘরের ছেলে আর ফিরবে না মানতেই পারছেন না স্বজনরা। সোনু জয়সওয়ালের স্ত্রী সঙ্গীতা ও দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে । দুর্ঘটনার খবর সামনে আসতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। এরপরই তাঁরা চারজনের মৃত্যুর খবর পান। তবে পরিবারের মহিলাদের এই বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। জেলা শাসক আর্যকা আখোরি বলেন, তিনি মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছেন। বিমান দুর্ঘটনার খবরে গ্রাম নয়, পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে।
বিমান দুর্ঘটনায় চার বন্ধুর মৃত্যুর খবরে জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যেই নেপালের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন। দুর্ঘটনার আগের একটি ভিডিওও সামনে এসেছে। দুর্ঘটনার সময় ফেসবুকে লাইভে ছিলেন গাজিপুরের সোনু জয়সওয়াল। প্রথমে সোনু বিমানের ভেতরের ও বাইরের দৃশ্য দেখান। যাত্রীরা বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন। কয়েক সেকেন্ডর মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি। বিমানে থাকা পাঁচ ভারতীয় অভিষেক কুশওয়াহা (২৫), বিশাল শর্মা (২২), অনিল কুমার রাজভার (২৭), সোনু জয়সওয়াল (২৪) এবং সঞ্জয় জয়সওয়াল। এর মধ্যে অভিষেক, বিশাল, অনিল ও সোনু গাজীপুরের বাসিন্দা। চারজনই অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন। তিন দিন আগে নেপাল গিয়েছিলেন পশুপতিনাথ মন্দি্র দর্শন করতে। সকলেই একসঙ্গে ১২ জানুয়ারি বারাণসী থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানে থাকা পাঁচ ভারতীয় অভিষেক কুশওয়াহা (২৫), বিশাল শর্মা (২২), অনিল কুমার রাজভর (২৭), সোনু জয়সওয়াল (৩৫) এবং সঞ্জয় জয়সওয়াল (৩৫)। এর মধ্যে সোনু জয়সওয়াল উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বাসিন্দা। এই পাঁচ ভারতীয়ের মধ্যে চারজন শুক্রবারই ভারত থেকে কাঠমান্ডু পৌঁছান। দক্ষিণ নেপালের সরলাহি জেলার বাসিন্দা অজয় কুমার শাহ বলেছেন, "বিমানটিতে থাকা চার ভারতীয় পোখারার লেক সিটিতে প্যারাগ্লাইডিং উপভোগ করার পরিকল্পনা করছিল।"
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নেপালে বিমান দুর্ঘটনার মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, “নেপালের পোখরায় বিমান দুর্ঘটনা আমি গভীরভাবে দুঃখিত। মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করি। একই সময়ে, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং এই ঘটনাকে 'অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক' ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন।