আশঙ্কাই সত্যি হল! ভারতীয় সেনায় গোর্খাদের নিয়োগ বন্ধ রাখল নেপাল

ভারতীয় সেনাপ্রধানের নেপাল সফরের মাত্র কয়েকদিন আগে কাঠমাণ্ডুর এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের নেপাল সফরের মাত্র কয়েকদিন আগে কাঠমাণ্ডুর এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Nepal stalls recruitment of Gorkhas in Indian Army under Agnipath

ভারতীয় সেনায় নেপালি গোর্খা নিয়োগ স্থগিত।

'অগ্নিপথ' প্রকল্প নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ নেপাল। শেষমেশ ভারতীয় সেনায় 'অগ্নিপথ' প্রকল্পে গোর্খাদের নিয়োগ স্থগিত রাখল নেপাল। ভারতীয় সেনাপ্রধানের নেপাল সফরের মাত্র কয়েকদিন আগে সে দেশের সরকারের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisment

নেপাল সেনাবাহিনীর 'সাম্মানিক জেনারেল' পদে ভূষিত করা হবে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডেকে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর 'অগ্নিপথ' প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই 'ভ্রূ' কুঁচকেছে নেপাল। ভারতীয় সেনায় করোনা মহামারী ছড়ানোর আগে পর্যন্তও প্রতি বছর ১২০০-১৫০০ নেপালি গোর্খা চাকরি পেয়েছেন। ভারতীয় সেনায় চাকরি করে হাজার-হাজার নেপালি গোর্খা এখনও পেনশন-সহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে চলেছেন।

সেনাবাহিনীতে ভারত ও নেপালি গোর্খাদের নিয়ে গোর্খা রেজিমেন্ট, গোর্খা ব্যাটেলিয়ন রয়েছে। নেপালের অর্থনীতিতেও বড়সড় ভূমিকা রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তবে ভারতীয় সেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নেপাল। সেনায় অস্থায়ী এই চাকরি ব্যবস্থা নেপাল-ভারত-ব্রিটেনের আগের চুক্তির পরিপন্থী বলে আওয়াজ তুলেছে কাঠমাণ্ডু।

পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে ভারত-নেপালের সেনাপ্রধানদের একে অপরপক্ষের 'অনারারি জেনারেল' হওয়ার রীতি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে গোর্খা নিয়োগের মতোই পুরনো। এই উদ্দেশ্যে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জেনারেল মনোজ পাণ্ডের নেপাল সফর। তবে তার আগে নেপালের গোর্খাদের ভারতীয় সেনায় 'অগ্নিবীর' হিসেবে নিয়োগে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

Advertisment

আরও পড়ুন- কর্মজীবনের শেষ দিন! পাঁচটি গুরুত্বপুর্ণ মামলার রায় দান করবেন প্রধান বিচারপতি

সম্প্রতি নেপালের বিদেশমন্ত্রী নারায়ণ খড়কা সেদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নবীন শ্রীবাস্তবকে 'অগ্নিপথ' প্রকল্প নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছেন। বর্তমানে 'অগ্নিপথ' প্রকল্পের মাধ্যমেই ভারতীয় সেনায় নিয়োগ চলছে। নেপালের বিদেশমন্ত্রীর মতে, ''এখন গোর্খাদের ভারতীয় সেনায় যেভাবে নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে তা ১৯৪৭-এর ৯ নভেম্বর নেপাল-ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কাঠমাণ্ডু রাজনৈতিক দল এবং এব্যাপারে ওয়াকিবহাল মহলের প্রত্যেকের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচনার পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।''

নেপালের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের রাষ্ট্রদূতকে নেপালের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেছেন, ''১৯৪৭-এর যে চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে গোর্খাদের নিয়োগ করা হয়, অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় সেনায় নতুন নিয়োগ নীতি আগের চেয়ে আলাদা। তাই নেপালকেও নতুন এই নীতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে হবে।'' সেই কারণেই নেপালে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে গোর্খাদের ভারতীয় সেনায় নিয়োগ পদ্ধতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।

Nepal gorkha Indian army