Advertisment

নেতাজীর ডিএনএ হস্তাক্ষর মেলেনি, যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি ক্ষুব্ধ পরিবারের

সুভাষ চন্দ্রের পরিবারের দাবি নেতাজীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই 'অশুভ প্রচার' চালাচ্ছে অসরকারি সংস্থা 'মিশন নেতাজী'। পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে যেন নেতাজী সংক্রান্ত ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ফাইল প্রকাশ্যে আনা হয়। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
netaji subhash chandra bose

উত্তর প্রদেশের গুমনামি বাবাই নেতাজী - প্রচলিত এই দাবির তদন্ত হোক, সম্প্রতি সেরকমই চাইছেন নেতাজীর পরিবার। পরিবারের সদস্যদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, যথার্থ প্রমাণ ছাড়াই 'মিশন নেতাজী' নামের এক অসরকারি সংস্থা দাবি করছে, ফয়জাবাদের গুমনামি বাবাই আসলে সুভাষ চন্দ্র বোস। এই প্রসঙ্গে বসু পরিবারের দাবি, উত্তর প্রদেশের ফয়জাবাদের গুমনামি বাবার দাঁতের ডিএনএ পরীক্ষা করে এবং হাতের লেখা মিলিয়ে নেতাজী আর গুমনামি বাবা যে অভিন্ন ব্যক্তি, তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়াই যায়নি, অথচ তা সত্ত্বেও সেই ভুয়ো তথ্যই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Advertisment

সুভাষ চন্দ্রের পরিবারের দাবি, নেতাজীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই 'অশুভ প্রচার' চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, যাতে নেতাজী সংক্রান্ত ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ফাইল প্রকাশ্যে আনা হয়।

প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে নেতাজীর জন্মদিনেই প্রকাশ্যে আসে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘গুমনামী’র পোস্টার। যে ছবির কেন্দ্রে থাকছেন  গুমনামি বাবা। তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭০ সাল নাগাদ উত্তর প্রদেশে আর্বিভাব ঘটে গুমনামি বাবার। অনেকে বলতে শুরু করেন, এই বাবা আসলে সুভাষচন্দ্র বোস। তাঁর সঙ্গে নেতাজীর আদলের মিল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে বলেন, আজাদ হিন্দ ফৌজের কিছু চিঠিপত্রও পাওয়া গিয়েছে তাঁর কাছে।

আরও পড়ুন, ‘গুমনামী’ নিয়ে বিতর্কের জবাব দিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়

সৃজিতের সেই চলচ্চিত্র নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল চন্দ্র কুমারের। ফেসবুক মারফত সেই নিয়ে সম্প্রতি এক পোস্টে পরিচালক লেখেন,  ”গুমনামি বাবাকে নেতাজী হিসাবে দেখাব কি দেখাব না এই সংক্রান্ত কোনও প্রতিশ্রুতি আমি চন্দ্র বাবুকে দিইনি। আমি বলেছি, সুভাষ চন্দ্রের শেষের দিনগুলো নিয়ে বেশ কয়েকটি তত্ত্ব রয়েছে এবং নির্দিষ্ট তত্ত্বের ভিত্তিতেই ছবিটা তৈরি হবে। এছাড়াও মুখার্জি কমিশনের তথ্য-প্রমাণের ওপর নির্ভর করা হচ্ছে।”

‘গুমনামি’ অর্জুন ধর ও চন্দ্রচূড় ঘোষের বই ‘কোনানড্রাম’ থেকে অনুপ্রাণিত। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক সম্মেলন করে চন্দ্র বসু ছবির তথ্যের সত্যতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন। এ বিষয়ে নেতাজীর প্রপৌত্র চন্দ্র বসু একটি টুইটও করেন। তার জবাবে সৃজিত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন: “আমি এই দেশের নাগরিক এবং আমি এই সিনেমা তৈরি করবই। আপনার সঙ্গে দেখা হবে ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে সিনেমার প্রিমিয়ারে।”

বসু পরিবারের তরফ থেকে চন্দ্র কুমার বোস দাবি করেছেন তদন্ত করে এই 'অশুভ প্রচার' চালানো লোকেদের মুখোশগুলো যেন খুলে ফেলা হয়। " শুধুমাত্র বসু পরিবারের সঙ্গেই নয়, মিশন নেতাজী সমগ্র দেশবাসীর সঙ্গে এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন। কোনো উপযুক্ত নথি অথবা ছবি ছাড়া কখনই প্রমাণ করা সম্ভব না যে, উত্তরপ্রদেশের ফয়জাবাদের গুমনামি বাবা আসলে ছদ্মবেশী নেতাজী", সাংবাদিকদের বলেছেন চন্দ্র কুমার। পাশাপাশি দাবি করেছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই যাতে গোয়েন্দা বিভাগের সব ফাইল প্রকাশ্যে আনা হয়।

"আমরা জানতে চাই, 'মিশন নেতাজী'কে ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কারা পয়সা দিচ্ছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর কাছে আমরা সত্য প্রকাশের আবেদন জানাচ্ছি", বলেছেন সুভাষ চন্দ্রের ভাইপো দ্বারকানাথ বোস।

Read the full story in English

netaji
Advertisment